জেনে নিন : কর্মক্ষেত্রে হবু মা
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: আমাদের দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি এখন ছয় মাস। কর্মজীবী নারীদের তাই গর্ভাবস্থায় বেশ কিছুদিন অফিস করতেই হয়। এ সময়কার নানা শারীরিক সমস্যা, অস্বস্তিকর ঝামেলা মোকাবিলা করে কাজ চালিয়ে যাওয়াটা অনেকেই বেশ কঠিন মনে করেন। তবে সচেতনতা আর সাবধানতা থাকলে তা অসম্ভব নয়। আর এ জন্য হবু মায়ের প্রতি চাই সহকর্মীদের সহযোগিতাও।
ফারজানা ফিরোজ একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপক পদে আছেন। গর্ভাবস্থায়ও কাজ করেছেন নিজের কর্মক্ষেত্রে। বিশেষ সেই সময়টিতে নিজের কাজের ক্ষেত্রে পেয়েছেন কিছু আলাদা সুবিধা। ‘সেই সময় একবার আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি, চিকিৎসকের পরামর্শমতো পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল বেশ কয়েক দিন। তখন অফিসে ছুটির ব্যাপারে কোনো সমস্যা তো হয়ইনি, বরং বলা হয়েছিল যত দিন প্রয়োজন, তত দিনই বিশ্রাম নিতে পারব।’ বলছিলেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, কোনো রকম যেন অস্বস্তি না হয়, সেজন্য অফিসে তাঁর জন্য একটি আরামদায়ক স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর বসার সেই স্থানটিকে বেশ খানিকটা বিস্তৃত করে দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে সেখানেই বিশ্রাম নিতে পারতেন। তাঁর অফিসে কেউ কখনো কাজের টেবিলে খাওয়াদাওয়া করেন না, তবে সেই সময়টাতে তাঁকে খানিকক্ষণ পরপরই খাবার খেতে হতো বলে কাজের টেবিলেই সারতেন তা, এতে অফিসের কেউ কিছু মনে করতেন না।
সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হতো ফারজানার। অফিসে আবার লিফটও নেই। তাই যেসব মিটিংয়ে তাঁকে যোগ দিতে হতো, সেগুলোর আয়োজন হতো তিনি যে ফ্লোরে কাজ করতেন, সেখানেই। সহকর্মীরাও সহযোগিতা করতেন সব সময়।
গর্ভকালে ফারজানার মতো সুবিধা সবাই পান কি? আর অফিসেরই বা একজন হবু মায়ের প্রতি কি দায়িত্ব আছে? এ প্রসঙ্গে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কাজের পরিবেশ অনেক ভালো। আর গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু বিষয় প্রত্যেকেরই বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।’ তিনি জানালেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বছরের যেকোনো সময় নৈমিত্তিক ছুটি হিসেবে ২০ দিন ছুটি নিতে পারেন যে কেউ। গর্ভবতী নারী তাঁর প্রয়োজনমতো এই ছুটি কাজে লাগাতে পারেন। আর মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের ছুটি তো রয়েছেই। এ ছাড়া অর্জিত ছুটিও নেওয়া যায় বছরে ৩৩ দিন