সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে লাশ দাফনেরও অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার: নোমান
সরকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাশ দাফনেরও অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল নোমান বলেছেন, আমাদের সহকর্মীদের লাশ আমরা দাফন করতে চাই। কিন্তু সরকারের লোকেরা তাদের গুমের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়। যার জন্য আমাদের সহকর্মীদের লাশ দাফন করতে পারি না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ছাত্রদলের আয়োজনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সংবিধানে আছে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু এই সরকার দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বিনা নির্বাচনে ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়ে নিজেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দাবি করেন।
নোমান বলেন, বিএনপি ও বাংলার জনগণ তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে মানি না। যারা রাজনীতি করেন না সে সব সাধারণ মানুষও এই সংসদ সদস্যদের মানেন না।
তিনি বলেন, রেন্টার বিদ্যুৎ সার্ভিস কার্যক্রমের নামে এ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। আর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করার অধিকার আছে। কিন্তু এই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে মিথ্যা মামলা, কারাবদ্ধ করে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে চাইছে বলে মন্তব্য করে নোমান বলেন, কিন্তু এ সরকার ভুলে গেছে কারাগারে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না। বরং আন্দোলনের গতি আরো বৃদ্ধি পায়।
এ সরকারে আমলে আখ চাষিরা আখের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার কারণে উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা টিকবে না।
তিনি বলেন, তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ অনেক কথা বলেছে। বিএনপি দেশের কথা চিন্তা করে তিস্তা নদীর পানি জন্য লংমার্চ করেছে।
মানববন্ধনে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম পলের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন আহাম্মেদ টুকু, মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান, বিএপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।