অপহরণের পর কিডনি কেটে শিশুটিকে খুন
খবর বাংলা২৪ ডেক্সঃ গত ২২ এপ্রিল বিকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শিশু হারুন হারিয়ে যায়। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ফইলার বিলের একটি ডোবায় কচুরীপানার নিচে পাওয়া যায় তার ‘কিডনিবিহীন’ মৃতদেহ।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কিডনি পাচারকারী সন্দেহে খলিল (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কোহিনুর আরজুমানের আদালতে খলিল স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে ‘পালিয়ে যাওয়ার সময়’ উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়াকৈর এলাকা থেকে খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মৃত হারুন (৬) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নানের ছেলে। ছেলের এই খুনের ঘটনায় হারুনের বাবা আব্দুল হান্নান একই গ্রামের তিন জনকে সন্দেহজাজন আসামি করে থানায় মামলা করেন।
মঙ্গলবার আদালতে হাজির করলে খলিল স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার সাভারের একটি চক্রের কাছে শিশু ‘হারুনের কিডনি’ বিক্রির জন্য তরফবাড়িয়া গ্রামের চাদ আলী (২৫), মতিন (৩০) ও দেলোয়ার ১০ লাখ টাকায় একটি চুক্তি করে। এরপর কয়েকদিন ধরে তারা হারুনকে নানা খাদ্যদ্রব্য কিনে দিয়ে মন ভোলায়। গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশ থেকে অজ্ঞান করে বস্তায় ভরে হারুনকে নিয়ে যায় চাদ, মন্টু ও দেলোয়ার। ওইদিনই রাত ২টার দিকে উধুনিয়া ব্রিজের নিচে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার পর খলিল দেখেন সেখানে আগে থেকেই আরো তিন জন অপেক্ষা করছিল, যারা ঢাকার সাভার থেকে আসে। এদের মধ্যে একজন ডাক্তার। সবাই সেখানে পৌঁছানোর পর ব্রিজের নিচে শিশুটির দুইটি কিডনি কেটে নিয়ে স্যালাইনের প্যাকেটে ভরে সাভার থেকে আসা তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
খলিলকে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও শেষে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি নেননি বলে জানান। পরে শিশুটির লাশ আবার বস্তায় তুলে ফইলার বিলের কচুরীপানার নিচে ফেলে রাখেন।
তথ্যসূত্র, ছবি : বিডিনিউজ