বিএনপির মহাসচিব হচ্ছেন মেজর হাফিজ!
খবর বাংলা২৪ ডেক্সঃ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাঁধ থেকে ভার সরিয়ে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব করা হচ্ছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে। বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় ও গুলশানের চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় এলাকায় নেতাকর্মীদের জমায়েতে কান পাতলে ইদানিং এমন গুজবই শোনা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হল।
ইতিমধ্যে ২২ ও ২৩ এপ্রিলের তিস্তা অভিমুখী লংমার্চের দায়িত্ব মেজর (অব.) হাফিজের ওপর অর্পণ করেন খালেদা জিয়া। এর পরপরই এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত এখন একটাই আলোচনা, সত্যিই কি মহাসচিব হচ্ছেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ?
মহাসচিবের সম্ভাব্য তালিকায় অবশ্য নাম আছে আরও কয়েকজনের, তবে মেজর (অব.) হাফিজের নামটাই আলোচনা হচ্ছে বেশি।
মহাসচিব পদে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনৈতিক, শারীরিকভাবে সুস্থ, দলের মধ্যে ভালো অবস্থান আছে, সাহসী ও সর্বোপরি প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ভালো সর্ম্পক আছে এমন একজনকেই খুঁজছেন বলে জানালেন সম্প্রতি লন্ডন ঘুরে আসা বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে দল ও দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তিত্বকেই আগামী কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সেনাপতি করতে চান খালেদা জিয়া। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও এতে সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
অবশ্য সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে মেলামেশার বদনাম আছে মেজর (অব.) হাফিজের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির ওই নেতা বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কথা ভুলে গিয়ে বর্তমানে সরকারের জুলুম অত্যাচার থেকে দলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে এমনই একজন নেতা দরকার। যার দলের ভেতরে, অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে এমনকি প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা আছে।
ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পূর্ব পাকিস্তান তথা পাকিস্তানের একজন নামকরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ১৯৬৪ সালে মোহামেডানের খেলোয়াড় হিসাবে সুনাম অর্জন করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
১৯৬৮ সালে সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার পদে যোগ দিয়ে ক্যাপটেন থাকা অবস্থায় সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন হাফিজ। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পান বীরবিক্রম উপাধি। বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রীও ছিলেন কয়েকবার।
হাফিজ উদ্দিন মহাসচিব হচ্ছেন কি না? বিষয়টি জানতে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি কোনো নেতাই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, মহাসচিব মেজর (অব.) হাফিজ হলেই ভালো হয়। তিনি মহাসচিব হলে তা দলের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়ান ইলেভেনের পটপরিবর্তনের সময় সংস্কারপন্থিদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ এক পাশে সরিয়ে তবে কি মেজর (অব.) হাফিজই হচ্ছেন বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব? প্রশ্ন এখন এটাই।
সৌজন্যে: বাংলা নিউজ