গবাদিপশুর খাদ্য তৈরির মেশিন
যন্ত্রবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত বগুড়ার আমির হোসেন এবার আবিষ্কার করেছেন গবাদিপশুর জন্য খাদ্য তৈরির অটোমেটিক মেশিন। ওই মেশিনে তৈরি করা যাবে গরু-ছাগলসহ গবাদিপশুর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য। ভুট্টা ও গমের শুকনো গাছ যেগুলো এতদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল সেগুলোই মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে গবাদিপশুর পুষ্টিকর খাদ্য। আমির হোসেন জানান, তার গো-খাদ্যের মেশিনটি চারটি পার্টে বিভক্ত। যা বানাতে খরচ হবে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা। মেশিনে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে গো-খাদ্য তৈরি করেছেন এবং ওই খাদ্য গরুর খামারিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ফলে এরই মধ্যে তিনি তিনটি মেশিন তৈরির অর্ডার পেয়েছেন। তিনি জানান, ভুট্টা এবং গমের শুকনো গাছ এবং খড় ও নেপিয়ার ঘাসের গোড়ার শুকনো অংশ প্রথমে কাটিং মেশিনে দিয়ে ছোট করে নিতে হবে। এরপর ক্রাশার মেশিনের সাহায্যে সেগুলো গুঁড়া করে নিতে হবে। এই গুঁড়ার সঙ্গে পানি এবং সুগার মিলের বর্জ্য মিশিয়ে মিকচার মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হবে এক ধরনের মণ্ড। ওই মণ্ড অটোমেশিনে দিয়ে তৈরি হবে এক ধরনের কেক জাতীয় খাদ্য। গরু-ছাগলসহ যে কোনো গবাদি পশুকে পানির সঙ্গে মিশিয়ে এ খাদ্য খাওয়ানো যাবে। প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে এ খাদ্যে গাভীর দুধের উৎপাদন ও মাংস বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশে গো-খাদ্যের সঙ্কট অনেকটাই কমে যাবে। এ মেশিন পরিচালনা করতে জনবল লাগবে চারজন। বিদ্যুৎ ও ডিজেল দুই পদ্ধতিতেই চালানো যাবে ৪০ হর্সের এ মেশিন। প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ কেজি গো-খাদ্য তৈরি করা যাবে এ মেশিনে। আমির হোসেন জানান, বাংলাদেশে পশুখাদ্যের ব্যাপক সঙ্কট রয়েছে। পশুখাদ্য তৈরির জন্য ব্যাপক উপকরণও রয়েছে। যা যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় না। ফলে উপকরণগুলো নষ্ট হয়ে যায় অথবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ উপকরণগুলো মেশিনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে গবাদিপশুর খাদ্যে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এখন সহজেই গবাদি পশুর খাদ্য স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারবে মানুষ।