পারলেন না সাকিব, সুপার ওভারে হারল কলকাতা
শেষ বলে দরকার ছিল তিন রান। কলকাতার শেষ ভরসা হিসেবে স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন সাকিব আল হাসান। রিচার্ডসনের বলটা লং অফে পাঠিয়ে সাকিব নিতে পারলেন দুই। ম্যাচ টাই। পারলেন না সাকিব! তবে আশা তখনো শেষ হয়ে যায়নি। সুপার ওভার তো ছিলই।
সুপার ওভারের এক ওভারের খেলায় সাকিবের ওপর আস্থা রেখেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারও শেষ বলে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটতে থাকা সাকিব রান আউট হয়ে গেলেন। এই একটি রান হলেও হয়তো জিতে যেত কলকাতা। কারণ সুপার ওভারে কলকাতার তোলা ১১ রানের জবাবে রাজস্থান রয়্যালসও ঠিক ১১ রানই তুলেছে। এখানেও ‘টাই’ হওয়াতে শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসাবে জিতেছে রাজস্থান। সাকিবের দ্বিতীয় রানটি হয়ে গেলেই কলকাতার রান হতো ১২!
সুপার ওভারের শেষ বলে রাজস্থানের স্কোর ছিল ৯।
দরকার ছিল তিন রান। দুটো রান হলেও যে চলে সেটা স্মিথ জানতেন। সুনীল নারাইনের বলে কাভারে বল ঠেলে পড়িমড়ি করে ছুটে দুটো রান তুলে নিলেন। দৌড়ে এসে ফিল্ডার বল তালুবন্দী করেই খানিকটা পিছলে গেলেন। থ্রোটাই আর করা হলো না। ফিল্ডারের নাম? এখানেও সাকিব!
ভাগ্য তিন তিনবার সাকিবকে নায়ক হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছিল। কিন্তু একবারও সুযোগটা লুফে নিতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। সাকিব নায়ক হতে পারেননি, কিন্তু খলনায়কও তাঁকে বলা যাবে না। ম্যাচটা যে শেষ পর্যন্ত সুপার ওভার পর্যন্ত গেছে, তাতে বড় ভূমিকা সাকিবের ১৮ বলে খেলা ২৯ রানের ইনিংসটার। কলকাতার ব্যাটসম্যানদের আত্মহত্যার মিছিলে সাকিব একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখেছিলেন।
প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ৫ উইকেটে ১৫২ রান তুলেছিল। রাজস্থানকে নাগালের মধ্যে বেঁধে রাখতে বল হাতেও বড় ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে পঞ্চম উইকেটে যাদবের সঙ্গে মাত্র ২৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের প্রান্তে। শেষ তিন ওভারে ২৭ রান দরকার ছিল কলকাতার। রিচার্ডসনের করা ১৮তম ওভারে পরপর দুটো চার মেরে সমীকরণ আরও সহজ করে দিয়েছিলেন সাকিব। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১৬ রান।
কিন্তু ফকনারের করা ১৯তম ওভারে গড়বড় করে ফেলল কলকাতা। ওই ওভারে মাত্র চার রান তুলে তিন উইকেট হারিয়েছে সাকিবের দল। শেষ ওভারে দরকার ১২ রান। সাকিব এবারও প্রথম বলে চার মেরেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ওভারে কলকাতা তুলতে পারল ১১। এরপর টাই আর টাইয়ে কলকাতার ব্যর্থতার গল্প।