বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে র্যাব : এইচআরডব্লিউ
খবর বাংলা ডেক্সঃ বন্দুকযুদ্ধের নামে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী র্যাব। এক্ষেত্রে তাদের পাশে আছে খোদ সরকার- এমন অভিযোগ নিউ ইয়র্কভিত্তিক বিশ্বের প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে র্যাবকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে যেসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো যাচাই করে গবেষণালব্ধ ফলের প্রেক্ষিতে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনটিতে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলেকে দায়ী করা হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়ভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগের নাম করে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অন্যায় আচরণ বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস্ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এসব কাজ থেকে বিরত রাখা এবং এ সব অন্যায় কাজ বন্ধে জনগণের প্রতি আরো অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে এর দায় বহন করতে হবে দেশটির সরকার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সবগুলো রাজনৈতিক দলকে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিতর্কিত ওই নির্বাচনকে ঘিরে সংঘটিত সংঘর্ষে দেশব্যাপী শতাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
ব্র্যাড অ্যাডামস্ বলেন, দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এটাই ছিল সবচাইতে রক্তক্ষয়ী নির্বাচন এবং এখন পর্যন্ত দেশটিতে এ রকম যতো ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিষয়ে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
“বন্দুকযুদ্ধের মুখে গণতন্ত্র : বাংলাদেশে বিরোধীপক্ষে’র সংঘর্ষ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্যাতন” শীর্ষক ৬৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ডাকে দেশব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে বিসত্মারিত আলোচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাস, মোটরচালিত অটোরিকশা এবং পণ্যবোঝাই ট্রাকে ক্রমাগত পেট্রলবোমা ছুড়ে মেরেছে। বেশ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে শিশুদের ওপরেও হামলা চালিয়েছে বিরোধীপক্ষের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়াও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, অপহরণের পর গুম করে ফেলা, নির্বিচারে গ্রেফতার ও সর্বসাধারণের ব্যক্তিগত সম্পদ বিনষ্টকরণের সঙ্গে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে জড়িত ছিলেন, সে বিষয়েও গবেষণালব্ধ তথ্য বিসত্মারিতভাবে নথিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকন্ড, নির্যাতন ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের।
এছাড়াও নিজ নিজ দলের সমর্থকরা যেসব সংঘর্ষের ঘটনার ঘটিয়েছে তার বিরম্নদ্ধে স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে জনসম্মুখে বিবৃতি প্রদান করা উচিত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের।
প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ১২০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিরোধী দলের কর্মী ও সমর্থক এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো জনগণের ওপর এসব নির্যাতনের সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
প্রতিবেদনটিতে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলেকে দায়ী করা হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়ভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগের নাম করে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অন্যায় আচরণ বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস্ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এসব কাজ থেকে বিরত রাখা এবং এ সব অন্যায় কাজ বন্ধে জনগণের প্রতি আরো অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে এর দায় বহন করতে হবে দেশটির সরকার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সবগুলো রাজনৈতিক দলকে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিতর্কিত ওই নির্বাচনকে ঘিরে সংঘটিত সংঘর্ষে দেশব্যাপী শতাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
ব্র্যাড অ্যাডামস্ বলেন, দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এটাই ছিল সবচাইতে রক্তক্ষয়ী নির্বাচন এবং এখন পর্যন্ত দেশটিতে এ রকম যতো ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিষয়ে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
“বন্দুকযুদ্ধের মুখে গণতন্ত্র : বাংলাদেশে বিরোধীপক্ষে’র সংঘর্ষ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্যাতন” শীর্ষক ৬৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ডাকে দেশব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে বিসত্মারিত আলোচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাস, মোটরচালিত অটোরিকশা এবং পণ্যবোঝাই ট্রাকে ক্রমাগত পেট্রলবোমা ছুড়ে মেরেছে। বেশ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে শিশুদের ওপরেও হামলা চালিয়েছে বিরোধীপক্ষের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়াও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, অপহরণের পর গুম করে ফেলা, নির্বিচারে গ্রেফতার ও সর্বসাধারণের ব্যক্তিগত সম্পদ বিনষ্টকরণের সঙ্গে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে জড়িত ছিলেন, সে বিষয়েও গবেষণালব্ধ তথ্য বিসত্মারিতভাবে নথিবদ্ধ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকন্ড, নির্যাতন ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের।
এছাড়াও নিজ নিজ দলের সমর্থকরা যেসব সংঘর্ষের ঘটনার ঘটিয়েছে তার বিরম্নদ্ধে স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে জনসম্মুখে বিবৃতি প্রদান করা উচিত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের।
প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ১২০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিরোধী দলের কর্মী ও সমর্থক এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো জনগণের ওপর এসব নির্যাতনের সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।