তিস্তা ক্যানেলের পাড় ভেঙে ৬০ বিঘা জমির বোরো নষ্ট
খবর বাংলা ডেক্সঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলের একটি অংশ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ফসলি জমি, পুকুর ও বিল। এতে নষ্ট হয়ে গেছে আশপাশের ৬০ বিঘা জমির উঠতি বোরো ধান। খেত নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ডাঙ্গাপাড়া, কামারপাড়া এবং ঘোনপাড়া গ্রামের শতাধিক কৃষক। উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম দিয়ে যাওয়া সেচ ক্যানেলের বাম দিকে মঙ্গলবার রাতে ভাঙন সৃষ্টি হয়।
বড়ভিটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য জাহিদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ ক্যানেলগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। তীব্র স্রোতে ৩০ বর্গফুট জায়গা ভেঙে প্লাবিত হয় ফসলি জমি, পুকুর এবং চরেয়ার বিল। খবর পেয়ে রাতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী হচ্ছে। ক্যানেলের পাড় ভাঙার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল হক জানান, বালুর বস্তা, পাথর দিয়ে ভাঙা অংশটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভাঙন কবলিত ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক অমলেশ চন্দ জানান, অনেকে জমি বর্গা নিয়ে ধান আবাদ করছেন। ক্যানেল ভাঙে যাওয়ায় এখন তাদের মাথায় হাত। কৃষক ওসমান আলী বলেন ‘দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ৭০ ভাগ ধান পেকে গেছে। সপ্তাহ খানিক পর ধান কেটে ঘরে তুলবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু ক্যানেল ভেঙে ধান খেতে বালু জমে ভরাট হয়ে গেছে।’ কৃষক একরামুল মিয়া জানান, সেচ খালের অনেক স্থানে ছোটবড় গর্ত থাকলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ তা ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অমলেশ, ওসমান, একরামুলের মতো অনেক কৃষক আফশোস করে বলেন, ক্যানেল ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে গেছে তাদের স্বপ্ন।