ধর্ম : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তাগিদ দেয় ইসলাম
মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে ইমানের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। পবিত্রতার প্রতীক মহান আল্লাহর ইবাদতের জন্য মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা পাক হতে হয়। নাপাক অবস্থার কোনো ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। ইসলাম মুমিনদের যেমন দৈহিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার তাগিদ দিয়েছে ঠিক তেমনিভাবে বাড়িঘর ও পরিবেশ যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যাপারেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। ইহুদিদের অনুকরণ করবে না। তারা বাড়িতে আবর্জনা মজুত করে রাখে। (তিরমিজি)
যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ থেকে মুমিনদের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। যারা জলাধার বা রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করে তাদের অভিশপ্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তিন অভিশপ্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাক, যে পানির ঘাটে, রাস্তার ওপর ও গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করে।’ (আবু দাউদ)
ইমলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, শুধু ইবাদতের জন্য নয়, শারীরিক সুস্থতার জন্যও। মেসওয়াক, অজু, গোসল ইত্যাদি ব্যাপারে ইসলামী বিধান মুমিনদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে উৎসাহিত করে। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে ইসলামের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত বিধানগুলো। আল্লাহ মুমিনদের অন্তরে থাকেন। কিন্তু কারোর দেহ মন অপরিচ্ছন্ন হলে সেখানে আল্লাহ অবস্থান করতে পারেন না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার তৌফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক।