রাজধানীতে প্রেমিকের ইঠের আঘাতে প্রাণ গেলো প্রেমিকার মায়ের
খবর বাংলা ডেক্সঃ রাজধানীর পৃথক ঘটনায় বুধবার এক প্রেমিকের ইটের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক প্রেমিকার মায়ের ও তিনজনের অপমৃত্যু হয়েছে। তারা হলেনÑ কোহিনূর বেগম (৪৫), মাহামুদুল হাসান (৩৮), রোকেয়া আক্তার রুপা (১৯) ও মমিনুল হক (৪০)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাটারার খিলবাড়ীটেকের ১০৮১, নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন কোহিনূর। সোমবার রাতে কোহিনূরের মেয়ে শারমিনের প্রেমিক সাইফুল তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে ভাটারা থানার এসআই বাবুল হোসেন জানান, ‘কোহিনূরের মেয়ে শারমীন পাশের বাড়ির যুবক সাইফুলের সঙ্গে প্রেম করতো। কিন্তু শারমিনের মা তাদের দু’জনের প্রেমের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। সোমবার বিকালে শারমিনের মা কোহিনূরের সঙ্গে সাইফুলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন সাইফুল একটি ইট দিয়ে কোহিনূরের মাথায় আঘাত করলে এ ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, কোহিনূরের স্বামীর নাম ইউনুস আলী। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার লাউড়া এলাকায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার জন্য দায়ী সাইফুলকে আটক করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ১০ই এপ্রিল ৫০/ডি ফার্মগেটের তেজতুরী বাজারে একটি যন্ত্রাংশের দোকানে অগ্নিকা-ের ঘটনায় দগ্ধ হন মাহামুদুল হাসান। মুমূর্ষু অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, ২৪শে এপ্রিল উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মমিনুল হক। সকাল ৭টায় ওই হাসপাতালের ১১ তলা ভবন থেকে তিনি লাফ দেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মমিনুল গাজীপুর জেলার বাগেরবাজার এলাকায় একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন।