১৪ বছরের নির্বাসন কাটছে সেলিম মালিকের!
বদলায়নি শুধু সেলিম মালিক, হ্যান্সি ক্রনিয়ে ও মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের ভাগ্য। কারণ, তখন থেকে ম্যাচ পাতানো কাণ্ডে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত এই ত্রয়ী। কিন্তু এবার মনে হয় সেলিম মালিকের নির্বাসন দণ্ড কাটতে চলেছে? হ্যাঁ, বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) করা এক রিভিয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে।
২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাক অধিনায়ক সেলিম মালিক। সেই তালিকায় ছিলেন আরো দুই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রনিয়ে। ২০০২ সালে বিমান দূর্ঘটনায় যিনি মারা যান। আর একজন তৎকালীন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। যিনি এখন রাজনীতিবিদ। এই তিন অধিনায়কই আজীবন নির্বাসন দণ্ড থেকে বের হতে পারেননি।
তবে মালিকের ক্ষেত্রে এই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে মনে হয়। কেননা ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে আজীবন নির্বাসিত পাক ক্রিকেটার সেলিম মালিকের মামলাটি আবার রিভিউ করে দেখবে পিসিবি। বুধবার বিষয়টি নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেন, ‘মালিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কোনো একটি আদালতে তিনি এই মামলায় ছাড় পেয়েছেন। কিছু কাগজপত্রও তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। আমি সেলিমকে বলেছি কিছুদিনের মধ্যে এসে দেখা করতে। আমরা মামলাটির রিভিউ করতে এখন প্রস্তুত।’
সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়ের সঙ্গে ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানো ইস্যুতে জালে জড়িয়েছিলেন আজহারউদ্দিন ও সেলিম মালিক। এরপর দিল্লি পুলিশের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ওই তিন তারকার ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু ঘটনার আট বছর পর অথাৎ, ২০০৮ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আজীবন নির্বাসন রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে ওই দেশটিরই একটি আদালত। তাই পিসিবির কাছে এবার নিজের আজীবন নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য পুনরায় আবেদন করেছেন সেলিম মালিক। আদালতের কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর পিসিবি এবার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।