না.গঞ্জের হরতালে জামায়াতের সমর্থন
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সমর্থনের কথা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করে হত্যা করার ঘটনার প্রতিবাদে ও খুনীদের শাস্তির দাবীতে আইনজীবীরা যে হরতাল আহ্বান করেছেন আমরা এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জ্ঞাপন করছি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মানুষের বুকে গুলি চালাতে বাধ্য করছে। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করছে। প্রতিদিনই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।’
বিবৃতিতে দেশব্যাপী হত্যা, গুম, অপহরণ ও গ্রেপ্তার করে আটক অবস্থায় গুলি করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুলি করে মানুষ হত্যা সংবিধান ও মনবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং বিচার বিভাগের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন।’
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘দেশবাসী বন্দুক যুদ্ধের নামে মানুষ হত্যার এ নাটক আর দেখতে চায় না। সারা বাংলার নদী-নালা, খাল-বিলে মানুষের লাশ ভাসছে। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার নাটকের পর গুলি করে আহত করার ধারাবাহিকতার নিষ্ঠুর শিকার সাতক্ষ্মীরার জামায়াত কর্মী ফারুক হোসেন।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে অপহরণ করে হত্যা করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তৌহিদুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে আবারো অপহরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই। সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ক্যাডাররা ধরে ধরে মানুষ হত্যা, খুন ও গুম করছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থ, অকার্যকর ও তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে যাচ্ছে। জনগণ সরকারের ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে এক নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষ্মীরা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট আজ রক্তাক্ত বিরাণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয় ‘আমরা সকল জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে হত্যা, গুম, অপহরণ, অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’