অর্থের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে শ্রীবরদীর বাঁশ শিল্প

Sreebordi Correspondentরোম্মান আরা পারভীন রুমীঃবাঁশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি,পাষ্টিকের তৈরী জিনিস পত্রের বাজার দখল এবং প্রয়োজনীয় পুঁজি ও অর্থের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে শ্রীবরদী উপজেলার বাঁশ শিল্পীরা। এ পেশায় নিয়োজিত শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের বালুঘাটা,দহের পাড়  মানজালিয়া গ্রাম সহ প্রায় ২০০-৩০০টি পরিবার রয়েছে। যারা বংশগত ভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। তারা বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন মাপের ছোট বড় ডালি,হাত পাখা, কুলা, ঝাড়–, খুচি, ভাত তরকারি রাখা ঝাপা, ঝুড়ি, চাটাই, মাছের খাচা,মাছ ধরা খোলই, মুরগির বাচ্চা রাখা খুলই, পশুর হাত থেকে গাছ রা খাচা,বাশের আংটি, বাশের হারিকেন ইত্যাদি তৈরী করে শ্রীবরদী সহ বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে পাষ্টিকের তৈরী জিনিস পত্রের বাজার দখল এবং প্রয়োজনীয় পুঁজি ও অর্থের অভাবে বাঁশ ক্রয় করতে না পেরে এ পেশার অনেকেই অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাছাড়া দেশে অসংখ্য এনজিও ব্যাংক বিভিন্ন পেশার লোকদের ঋণ দিলেও এ বাঁশ শিল্পীদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। শ্রীবরদী উপজেলার বালুঘাটা গ্রামের হাবিজল (৬৫) সঙ্গে এ প্রতিনিধির কথা হয়। তিনি জানান, এক সময় আমরা বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরী করে সেগুলো শ্রীবরদীর হাটবাজার ছাড়াও শেরপুর,জামালপুর,বকসীগঞ্জের হাট বাজারে নিয়ে খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি করে যে টাকা উর্পাজন করতাম তা দিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাতাম। বর্তমানে আমাদের কে ১ টি বাঁশ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় কিনতে হয় এবং সেই বাঁশ থেকে বাতা ও চিকন কাঠি বের করে বিভিন্ন রকম জিনিস বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে যে টাকা উর্পাজন হয় তা দিয়েই আমরা অতিকষ্ঠে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।অন্যান্য বাঁশ শিল্পী হামেদ (৬৪), আবু বক্কর (৫০), বাদশা (৪২), তোফা (৪২)জানান,পর্যাপ্ত পুঁজির অভাবে আমরা এ পেশায় টিকে থাকতে পারছি না।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend