প্রত্যেকের ভেতর আতঙ্ক, আমরা উদ্বিগ্ন: মিজানুর
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘দেশ এখন বিশেষ সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। প্রত্যেকের ভেতরে আতঙ্ক ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত ও চিন্তিত। এ অবস্থা থেকে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।’
আজ শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কর্মশালা ও মানবাধিকার কর্মী সমাবেশ উদ্বোধনকালে মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এ অবস্থার প্রধান দায় বর্তায় রাষ্ট্রের ওপর। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে নাগরিকদের নিরাপত্তা, মানবাধিকার সুরক্ষা রক্ষা করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব হতে পারে না। আর এটা পারস্পরিক দোষারোপের বিষয়ও নয়। রাষ্ট্র ও সরকারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে নীরবে বসে থাকা যুক্তিযুক্ত নয়।
মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র কতটা দিয়েছে, সে প্রশ্ন না তুলে আগে নিজের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে—আমি রাষ্ট্রকে কী দিয়েছি। তবেই দেশে শান্তি আসবে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মশালা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিশনের সদস্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এইচ এম আজিমুল হক।
কর্মশালায় মানবাধিকার, নারী অধিকার, নারী শিক্ষা বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের মানবাধিকারকর্মীসহ ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামীকাল বরগুনায় দ্বিতীয় অধিবেশন।