মাগুরায় আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার
খবর বাংলা ২৪ডেক্স: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের পেয়াদাপাড়ার একটি বাড়ির রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মোহন মোল্লা (৩৫) নামে এক ব্যক্তির পঁচা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন পঁচা লাশের উত্কট গন্ধ পেয়ে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
রান্না ঘরটি বিনোদপুর ইউনিয়নের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম মোল্লার।
উদ্ধার হওয়া মোহন পেয়াদাপাড়া গ্রামের প্রয়াত ছাদেক মোল্লার ছেলে। ছাদেক মোল্লা সেলিম মোল্লার চাচাত ভাই। মোহন মোল্লা সম্পর্কে সেলিম মোল্লার ভাতিজা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেলিম মোল্লার বাড়ির ওই রান্না ঘরের ভেতর থেকে পঁচা লাশের উত্কট গন্ধ পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আজ বিকেল পাঁচটার দিকে লাশটি ওই ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে লাশটির একটি পা মাটিতে লেগে ছিল। অন্য পা পাশে রাখা চেয়ারের ওপর ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দু-একদিন আগে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বা কেউ তাঁকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। লাশ পঁচে ও ফুলে উঠেছিল। তাই গন্ধ ছড়াচ্ছিল। লাশের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল।
স্থানীয় লোকজন প্রথম আলোকে জানান, মোহন মোল্লা মাদকসেবী ছিলেন। তিনি এলাকায় চিহ্নিত চোর ও ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না। অনেকদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছিলেন। যে রান্নাঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় সেটি নিহত মোহন মোল্লার বাড়ির পাশেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলো’কে বলেন, চব্বিশ ঘন্টা পার হলে লাশ পচে গন্ধ ছড়ায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, দুই-একদিন আগে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বা তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বিকালে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ওই ঘরটি আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মোল্লার। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। বেড়ার ওপর দিয়েও ওই ঘরে ওঠা যায়। মোহন মাদকসেবী ও চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। অনেক দিন বাড়ি ছিল না। কিছুদিন আগে বাড়িতে আসে। ওই ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় আ.লীগ নেতা সেলিম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ওই লাশের ব্যাপারে কোন কথা না বলে শুধু কাঁদছিলেন।