জামালপুরে ব্যাংক কর্মকর্তা আটক : এজেন্টসহ পলাতক ২
খবর বাংলা ২৪ডেক্স:জামালপুরের মেলান্দহে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলিমুল আজমকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। প্রতারণায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এম ক্যাশ এজেন্টসহ আরো ২জন পলাতক রয়েছে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিমূল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে জামালপুর সকাল বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকৃত আজমসহ এম ক্যাশের এজেন্ট এনামূল হক (৩০) ও রাসেল রানা (২২) এই ২জনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মেলান্দহ থানায় মামলা (নং-২২, তারিখ: ৩০.৪.১৪) দায়ের করা হয়েছে। মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে মেসার্স রাইসা ইলেক্ট্রনিক্স লি: এর ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান জুয়েল বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ইসলামী ব্যাংক জামালপুর শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, মেলান্দহসহ সারাদেশেই আমাদের এম ক্যাশ সার্ভিস চালু আছে। মেলান্দহ বাজারেও বেশ ক’টি এম ক্যাশের এজেন্ট দেয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে লেনদেনও হচ্ছে। কিন্ত এজেন্ট এনামূল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে এজেন্ট এনামূলের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। এজেন্ট এনামূল ও তার সহযোগি রাসেল রানা আত্মগোপন করে। পুলিশ প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা চালায়। ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার গ্রেপ্তারের বিষয়ে ম্যানেজার আনিসুর রহমান বলেন- এম ক্যাম ও অনিয়মের অভিযোগটি গ্রেপ্তারকৃত সিনিয়র অফিসার তদারকি করেন। এই অভিযোগের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ আছে। দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ও ওঠে এসেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হালিমুল ইসলাম জানান-অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রতারণার আশ্রয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা জ্বোরালো হচ্ছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ, অভিযুক্তরা ২/৩মাস যাবৎ মেলান্দহ বাজার হাই স্কুল রোডে ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ সার্ভিস শুরু করে। এরপর নিয়ম বহির্র্ভূতভাবে পুরো ব্যাংকিং কার্য্যক্রম চালায়। মানি রিসিটের মাধ্যমে বহুলোকের টিটি/ডিডি ও বিদ্যুৎ বিল ডিসপাসি করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। এরপর অনেক ব্যবসায়ির টিটি/ডিডি ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা নিয়ে ৩০এপ্রিল থেকে উধাও হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ৫ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টিটি পাঠানোর কথা বলে প্রায় ১৪লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংক ম্যানেজার আনিসুর রহমান ৭/৮ লক্ষাধিক টাকার অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন-প্রতারকদের দেয়া মানি রিসিট ইসলামী ব্যাংকের নয়। এটা প্রতারণারই কৌশল।