গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এশিয়ায় ২৩তম বাংলাদেশ
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিচারে বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ আর এশিয়া প্যাসিফিকের তালিকায় ৪০টি দেশের মধ্যে ২৩।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউজের এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, এক দশকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম স্বাধীনতা সব থেকে নিচে নেমে এসেছে। সমীক্ষায়, ১৯৭টি দেশের মধ্যে ৬৩টি দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন, ৬৮টি দেশে আংশিক স্বাধীন ও ৬৬টি দেশে স্বাধীন নয় বলে চিহ্নিত করা হয়।
সমীক্ষা প্রতিবেদনের পরিচালক কারিন কারলেকার বলেছেন, সার্বিক গতিধারা নেতিবাচক। বিশ্বের মাত্র ১৪ শতাংশ জনসাধারণ মুক্ত গণমাধ্যম উপভোগ করে। অর্থাৎ প্রতি সাত জনে মাত্র এক জন মুক্ত গণমাধ্যমের দেশে বাস করে। এশিয়া প্যাসিফিকের দেশগুলোর মধ্যে ১৪টি দেশের গণমাধ্যম মুক্ত, ১৩টি দেশে আংশিক স্বাধীন ও বাকি ১৩টিতে স্বাধীন নয় বলে চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৩ সালে এ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ গণমাধ্যম স্বাধীনতা উপভোগ করেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
ফলাফলে আরও বলা হয়, এ অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে গণমাধ্যম খাতে উন্নতির পর ২০১৩ তে এসে অবনতি হয়েছে। গণমাধ্যম স্বাধীনতার মানদন্ড বিশ্বব্যাপী তালিকায় সব থেকে নিচে এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ১১৫তম অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া ও ফিজি। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১২। ভারত, হংকং, শ্রিলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও চীনেও গণমাধ্যম স্বাধীনতার অবনতি ঘটেছে। ভারতের গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীন ও তাদের অবস্থান ৭৮তম। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যম স্বাধীন থাকলেও তারা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিচে নেমে এসেছে।
এশিয়া প্যাসিফিক তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে অন্যান্য দেশের মধ্যে- মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। গণমাধ্যম স্বাধীন নয় এমন দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, সৌদি আরব, ইরান ও চীন। গণমাধ্যম স্বাধীনতা তালিকার শীর্ষে সম্মিলিতভাবে অবস্থানে করছে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ও সুইডেন।