নকলায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত

Picture-01-220x146 শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী নকলা উপজেলায় ‘সুন্দর আগামী ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০১৫ পরবর্তী সময়ের কাঙ্খিত উন্নয়নে স্বাধীন গণমাধ্যম’ এই মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে ৩ মে শনিবার নকলা উপজেলা প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নকলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি সাংবাদিক ও কলামিস্ট তালাত মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নকলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো, সহ-সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সহ:সম্পাদক শফিউজ্জামান রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম সুমন, অর্থ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান রবিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন -স্বাধীনতার একটি তুলনামূলক মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা গুলোর অবসান ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে সব সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এ দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- “ফ্রিডম অব দ্যা প্রেস” ২০১৪ বার্ষিক রিপোর্ট মতে বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ৬৬টি দেশে গণমাধ্যম মুক্ত ও স্বাধীন নয়। ৬৮টি দেশে গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীন।
বক্তারা আরো বলেন, সংবাদপত্র বিহীন কোন দেশ বা জাতি অন্ধ, যা পৃথিবী থেকে বিছিন্ন একটি দ্বীপের মত। আর তাইতো এ জাতিকে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে খ্রিস্টান মিশনারী কর্তৃক ১৮১৮ সালে প্রকাশিত ও প্রচারিত বাংলা ভাষায় প্রথম মাসিক “দিকদর্শন ও “সাপ্তাহিক সমাচার দর্পন” এবং ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদিত ১ম “দৈনিক সংবাদ প্রভাকর” প্রকাশিত হয়। তারা আরও বলেন- যতই টিভি, ডিস হউক না কেন, তবুও মানুষ পত্রিকা পড়বে। এখনও পত্রিকা পাঠকের সংখ্যা উলে­খযোগ্য। মানুষের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, মনন, রুচি, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে যার প্রভাব সব চেয়ে বেশি তা হলো সংবাদপত্র। রাষ্ট্রের পর সংবাদপত্রই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান যা আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রন করে। সুষম খাদ্য যেমন পেটের ক্ষুধা নিবারণ করে; তেমনি একটি সত্যবাদী ও সঠিক তথ্যদানকারী পত্রিকা মানুষের মনের খোরাক যোগায়। একজন শিক্ষিত মা যেমন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তেমনি একটি পত্রিকাও জাতিকে কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং সঠিক ও ন্যায়ের পথে চলার ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। দূর্নীতি, অন্যায়, ঘুষ, সন্ত্রাসের সঠিক চিত্র তুলে ধরার ফলে অনেক সন্ত্রাসী চক্র দূর্নীতিবাজ, অন্যায়কারী, ঘুষখোর ধ্বংস হয়েছে এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। সংবাদপত্র গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরীর মত নিপীড়িত মানুষের কাছে থাকে। সংবাদপত্রকে পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে দায়িত্বশীল অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাইতো সংবাদ পত্রকে “ফোর্থ ষ্টেট” (রাষ্ট্রের ৪র্থ শক্তি) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend