তবে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। তাঁরা দেশব্যাপী যে গুম, খুন ও অপহরণ শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশে টিআইবির চেয়ারপারসন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘সারা দেশে গুম, অপহরণ, হত্যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত। আমাদের এই শঙ্কা জানাতেই এই সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। এতেও যে পুলিশ বাধা দিয়েছে, তার প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই। আমাদের শেষ মৌলিক অধিকারটুকু সংকুচিত হতে চলেছে। এটা হতে পারে না। আমরা আশা করি সরকার তা বুঝতে পারবে। গুম, অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘এ দেশে যেন গুম ও অপহরণ না হয়, সে দাবি জানাতেই আমরা একত্র হয়েছি। এ সমস্ত অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি নারায়ণগঞ্জের র্যাব-১১ এর সব সদস্যকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কেন্দ্রীয় সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সমাবেশে বলেন, ‘যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা সৃষ্টির ক্ষমতা রাখে না।’ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের লাখো লাখো সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় সমাবেশ করতে পারে। আর আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে এলে তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘গুম, অপহরণ ও হত্যাকারীদের বিচার সরকারও চায়। তাহলে এই বিচার চাওয়া কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?’
আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। পুলিশের সব ক্ষমতা র্যাব কেড়ে নিয়েছে। পুলিশকে তার ক্ষমতা ফিরে পেতে সোচ্চার হতে হবে।’
সংসদ ভবনের সামনে যখন উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের সমাবেশ যখন চলছিল তখন পুলিশের সাঁজোয়া যান শব্দ করে চারদিকে টহল দিচ্ছিল।