নতুন কোচের খোঁজে বিসিবি
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান তাই জানিয়েছেন, বর্তমান কোচ শেন জার্গেনসেনকে আটকে রাখার কোনো চেষ্টা করা হবে না। নতুন কোচের সন্ধানেই তাই নেমে পড়ছে বিসিবি।
নাজমুল বলেছেন, ‘কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাকে আটকে রাখার কোনো মানে হয় না। ওকে জোর করে রেখে দিলেও সে শতভাগ দিতে পারবে না আর। শেন তাই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত থাকছে। এর মধ্যে খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই আমরা বোর্ড সভায় বসব। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আমরা ওর সঙ্গে কাজ করব, নাকি বিকল্প খুঁজব। তবে এটা নিশ্চিত, আমরা নতুন কোচই খুঁজছি।’
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারের পর ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তখনই নাজমুল মন্তব্য করেছিলেন, বিশ্বকাপের পর ‘বড় পরিবর্তন’ আসছে। তাঁর এই মন্তব্য এবং গত কিছুদিন বোর্ড পরিচালকদের কারও কারও মন্তব্য জার্গেনসেনের আকস্মিক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হয়।
এ ব্যাপারে নাজমুলের বক্তব্য, ‘আমি আগে বলেছিলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলের ভালোর জন্যই টিম ম্যানেজমেন্টসহ বড় পরিবর্তন আনা হবে। এটা সবাই জানত। প্রথমত, দলের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল, এ কারণেই হয়তো তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে আমাদের কয়েকজন পরিচালকের মন্তব্যের ওপর তিনি হয়তো অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন, ভেবেছেন এমন কিছু হওয়ার আগে সসম্মানে সরে যাওয়াই ভালো।’
জার্গেনসেনকে ছাঁটাই করা হতে পারে, এমন কোনো ইঙ্গিত বোর্ডের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে কখনো দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে জার্গেনসেন-অধ্যায়কে এখন অতীতই ভাবছে বিসিবি। তাদের লক্ষ্য এখন ভবিষ্যতের দিকে। বাংলাদেশি কোনো কোচকে এই দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনাও তিনি নাকচ করেননি। তবে প্রথমত বিসিবি বিদেশি কোচ নিয়োগেরই চেষ্টা করবে। সেটি সম্ভব না হলেই দেশের কারও কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বিসিবি আটজন বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েছে। এঁদের সর্বশেষ তিনজনই পূর্ণ মেয়াদের আগেই বিদায় নিয়েছেন। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখেন না নাজমুল, ‘টুর্নামেন্ট শেষ হলে যদি দলের পারফরম্যান্স ভালো না থাকে, তাহলে কোচ সাধারণত পরিবর্তনই করা হয়।’