সেই লতিফই এখন মালিকের পাশে
১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের সময় যে সতীর্থ ক্রিকেটাররা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, সেটা প্রথম জানিয়েছিলেন লতিফ। গুরুতর এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯৮ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল পাকিস্তান সরকার। দুই বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০০ সালে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মালিক ও পেসার আতাউর রেহমানকে। জরিমানা গুনতে হয়েছিল ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাঈদ আনোয়ার, মুশতাক আহমেদ, ইনজামাম-উল-হক ও আকরাম রাজার মতো ক্রিকেটারদের
২০০৩ সালে আতাউর রেহমানের বহিষ্কারাদেশ তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু অনেক দেন দরবার, আইন আদালত করেও নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে মুক্তি পাননি মালিক। এক যাত্রায় পৃথক ফল হচ্ছে বলেই এখন মালিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন লতিফ। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘আইসিসি আর পিসিবি কখনোই বিচারপতি কাইয়ুমের পুরো তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেনি। সেজন্যই মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল রেহমান। অভিযুক্ত অন্য ক্রিকেটাররা যদি বোর্ডের সঙ্গে বা ঘরোয়া লিগগুলোতে ক্রিকেটসংক্রান্ত কাজ করতে পারে, তাহলে মালিকেরও সেই সুবিধা পাওয়া উচিত।’
কারও নাম উল্লেখ না করলেও লতিফের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য শাস্তি পাওয়ার পরও ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মুশতাক। ওয়াকার ইউনুস তো পাকিস্তানের কোচ হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়াসিম আকরাম জড়িয়ে আছেন ক্রিকেটের সঙ্গেই। কাজ করছেন ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএলে। সবাই যদি বহাল তবিয়তে থাকেন, তাহলে মালিকের ক্ষেত্রে তা হবে না কেন? এএফপি