বিমানবন্দরে উদ্ধার হলো ছয় কেজি সোনা : এবার রোগীকে দিয়ে সোনা বহন
কিডনির সমস্যায় ভোগা ষাটোর্ধ্ব আবদুর রাজ্জাক গতকাল রোববার দুপুরে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তাঁকে হুইল চেয়ারে করে বিমান সংস্থার কর্মীরা গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তাঁরা রাজ্জাকের কোমরে বাঁধা বিশেষ বেল্ট থেকে ছয় কেজি ওজনের ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করেন।
শুল্ক গোয়েন্দারা বলেন, কাগজপত্রে দেখা গেছে, আবদুর রাজ্জাকের দুটি কিডনিই ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁকে সোনা বহনে ব্যবহার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজ্জাক মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছান। হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন উড়োজাহাজ সংস্থার কর্মী আনোয়ার হোসেন ও উজ্জ্বল। সঙ্গে সোনা থাকার তথ্য থাকলেও প্রথমে শুল্ক গোয়েন্দারা অসুস্থ রাজ্জাকের কাছে সোনা আছে কি না জানতে চান। তিনি না-সূচক জবাব দেন। শুল্ক গোয়েন্দারা তাঁকে অনুসরণ করেন।
একপর্যায়ে গ্রিন চ্যানেলের কাছে তাঁকে আটক করে শরীরে তল্লাশি চালিয়ে কোমরে থাকা বেল্টে সোনার বারের খোঁজ পান। পরে বিমানবন্দরের শুল্ক হলে এনে দেখা যায়, বেল্টে বিশেষভাবে ছয়টি সোনার বার রাখা আছে। সেগুলো উদ্ধার এবং তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। আনোয়ার ও উজ্জ্বলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক জানিয়েছেন, সোনার বারগুলো বিমানবন্দর পার করে দিতে পারলেই তিনি তিন লাখ টাকা পেতেন। তাঁর বাসা মিরপুরের কাজীপাড়ায়।
মইনুল খান বলেন, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৮০০ কেজি সোনা উদ্ধার এবং অন্তত ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে অধিদপ্তর সারা দেশে উল্লিখিত সময়ে দুই হাজার ২৭ কেজি সোনা উদ্ধারের তথ্য দিয়েছিল