খালেদা খেয়ে অনশন ভাঙাতে এসেছেন
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।বিএনপির গণঅনশন গণদুশমনের অনশন ছিল উল্লেখ করে সাবেক তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বিএনপির অনশনের দিন প্রেসক্লাবের আশপাশের খাবার ও পানিয় দোকান গুলোতে জমজমাট ব্যবসা হয়েছে। কারণ এটা গণঅনশন ছিল না গণভোজন ছিল।’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া সাংগঠনিক রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন। আমি বলব, আপনার দলের লাল বাতি অনেক আগেই জলে গেছে। এখন আর রেড অ্যালার্ট আর গ্রীণ অ্যালার্ট জারি করে দল ও জোটকে রক্ষা করতে পারবেন না।’নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ হবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংলাপ হতে পারে। তবে তিনটি শর্তে তা হতে পারে। বিএনপিকে নৈরাজ্যের রাজনীতি পরিহার, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ এবং নিজের জন্মদিন ১৫ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে জাতীর সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।’খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যখন এরশাদের কাছ থেকে সম্পত্তি নেন তখন সে প্রিয় দেবর হয়। আজ আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় সে আপনার স্বামীর হত্যাকারী হয়ে গেল। আপনাকে মনে রাখতে হবে এরশাদের আমলে ১০১ টাকায় নাম মূল্যে তার কাছ থেকে গুলশানের সবচেয়ে বড় বাড়িটি লিখে নিয়েছিলেন।’নারায়ণগঞ্জসহ দেশের খুন-গুমের সঙ্গে বিএনপি জড়িত দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন চোরাগোপ্তা হামলা করতে হবে। তার এ কথার এক সপ্তাহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের গুমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। এখন আর বুঝতে বাকি নেই যে বিএনপিই এ কাজ করেছে।’সভাপতির বক্তব্যে হাজি মো. সেলিম বলেন, ‘বিগত ২০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কোনো নেতৃত্ব আসছে না। তাই কোনো গুম-খুনের ঘটনা ঘটলে একপক্ষ অপরপক্ষকে দোষারোপ করে। যে কারণে তৃণমূলে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনার দরকার।’তিনি বলেন, ‘বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়ে সারাদেশে অনেক মানুষ জামায়াতে যোগ দিচ্ছে। বিএনপির এ লোকগুলোকে আওয়ামী লীগের মধ্যে আনার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কাজ করতে হবে।’ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কামরুল হাসান, সাম্যবাদি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হারুন চৌধুরী প্রমুখ।