অবশেষে ধর্ষিতা হয়ে ফিরে এলো অপহৃত স্কুলছাত্রী : গ্রেফতার-১
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতাঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ডেফলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের ৯দিন পর ধর্ষিতা হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছে। ডেফলাই গ্রামের দিনমজুর ইউসুফ আলী’র কন্যা (১১) গত ১৮ এপ্রিল নিজ বাড়ী থেকে অপহরণ হয়। একই গ্রামের গোলাপ হোসেন (৪৫) তার স্ত্রী ও অপর এক মহিলার সহায়তায় অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই স্কুলছাত্রী’র পিতা ইউসুফ আলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফসিহুর রহমান মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে এসআই ইউনুসকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এসআই ইউনুস এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে গত ২৬ এপ্রিল শনিবার “ঝিনাইগাতীতে অপহরণের ৭দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। অরদিকে, গোলাপ হোসেন ঢাকায় কয়দিন ধর্ষণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে ছেড়ে দেয়। সে মেয়েটি এলাকায় এসে বিচারের আশায় থানার এসআই ইউনুসের পাশাপাশি স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন বিচার পাচ্ছিল না। শেরপুর থেকে প্রকাশিত কালের ডাক, ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের আলো পত্রিকার সাংবাদিক দুদু মল্লিক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে এসআই ইউনুসকে অনুরোধ করলে তিনি একবার বলেন, ঢাকায় ধর্ষিত হয়েছে। মামলাটা সেখানেই করতে হবে। আবার রাগান্বিত হয়ে বলেন, আপনারাই ব্যবস্থা নিন, আমার কিছু করার নেই। এদিকে, কালের ডাক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই ঘটনায় দৃষ্টি পড়ে নালিতাবড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার শাহরিনা জাহানের। তার হস্তক্ষেপে থানার ওসি ফসিহুর রহমান ধর্ষিতাকে জরুরী ভিত্তিত্বে মেডিক্যাল চেকাপের জন্য প্রেরণ করেন। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গোলাপ হোসেনের শ্বাশুরী আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। গোলাপ হোসেন ও তার স্ত্রীসহ অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। ওসি ফসিহুর রহমান জানান, আসামী গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।