মদ্যপ ছিলেন সালমান, বললেন দুই সাক্ষী
মুম্বাইয়ে ২০০২ সালে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল বলিউডের অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকার পর গত বছর বেশ জোরেশোরেই শুরু হয় মামলার বিচার কার্যক্রম। আজ মামলার শুনানিতে মুম্বাই সেশন কোর্টে হাজির হন খান সাহেব। দুর্ঘটনার সময় সালমানই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই সাক্ষী।
দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই সাক্ষী আজ আদালতকে বলেছেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন সালমান। দুর্ঘটনার পরপরই গাড়ির চালকের আসন থেকে নেমে আসেন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বলিউডে তুমুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অসংযত জীবনযাপনের জন্য কুখ্যাতি আছে সালমানের। এ জন্য তিনি ‘ব্যাড বয়’ তকমাও পেয়েছেন। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে মুম্বাইয়ে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ওই দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আরও চার ব্যক্তি।
দুর্ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন সালমান। কিন্তু বরাবরই এ ‘দাবাং’ তারকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। ২০০৫ সালে সালমানের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কোনো এক অজানা কারণে তাঁর প্রতি নমনীয় আচরণ করেন আদালত। বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেওয়া হয়। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড।
পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে সালমানকে কঠোর সাজা প্রদানের দাবি তোলা হয় মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে মামলাটির বিচার কার্যক্রম আবার শুরু হয়। যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত বছর ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩০৪ (২) ধারায় সালমানের সাজা হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয় আদালতের পক্ষ থেকে। গুরুতর এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।
বিষয়টি জানার পরপরই আপিল করেন সালমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার কার্যক্রম আবার পিছিয়ে যায়। কয়েক দফা শুনানির পর আজ আবার মামলাটির শুনানি হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের জেলের ঘানি টানতে হতে পারে ৪৮ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতাকে।