একটি পৌরাণিক গল্প : অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন
বাবার কোলে থাকা শিশুর কণ্ঠে এ কথা শোনার পর, ‘চুপ থাক বেজন্মা’ বলে চাপাকণ্ঠে ধমক দেন বাবা। ‘বেজন্মা কী?’ ধমক খেয়েও প্রশ্ন করে খোকা। ‘অর্থ জানলে আর রাজাকে ল্যাংটা দেখতি না’। অবুঝ শিশুটি ছাড়া সবাই রাজার নতুন পরিচ্ছদের বন্দনায় পঞ্চমুখ। নিচিন্তপুরের রাজা অচিনপুরের কারিগর দিয়ে রাজ্যের টাকা খরচ করে বিশেষ পোশাক তৈরি করিয়েছেন। বিশেষ পোশাকে রয়েছে বিশেষ শর্ত। শর্ত হলো বেজন্মারা এ পোশাক ছোঁয়া তো দূরের কথা, চোখেই দেখবে না। রাজরাজড়াদের কেউ বেজন্মা নয়। সবাই দেখছে রাজা চমৎকার পরিচ্ছদে আচ্ছাদিত।
অভিনব পরিচ্ছদ প্রস্তুতের সময় প্রথম গিয়েছিলেন মন্ত্রী মহোদয়। চমৎকার মর্মে রিপোর্ট দিয়েছেন। এর পর একে একে সেনাপতি থেকে শুরু করে যারাই দেখতে গেছেন। সবার এক কথা, চমৎকার পরিচ্ছদ। সবার শেষে পরিচ্ছদ দেখতে যান রাজা। পরিচ্ছদের দিকে তাকিয়েই নিজের বেজন্মা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। রাজন্যবর্গের সবাই যেখানে সজ্জন সেখানে রাজা নিজে বেজন্মা! ভাবতে গিয়ে শরীর শিউরে ওঠে। মনে মনে গোসা হয় রানীমাতার ওপর। ‘উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এই সিংহাসন। রানীমাতার গর্ভজাত হওয়ার পরও রাজা রাজপুত্র নয়, বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে কালই রাজাকে সিংহাসন ছাড়তে হবে।’ রাজা যখন এসব কথা ভাবছিলেন তখন অচিনপুরের কর্মচারী, ‘পরিচ্ছদ কেমন হয়েছে?’ জানতে চান। ‘বাহ, কী সুন্দর পরিচ্ছদ’, হাসতে হাসতে উত্তর দেন রাজা।
আজকে নতুন পরিচ্ছদের প্রথম উদ্বোধন। অন্দরমহলে অচিনপুরের কারিগরেরা রাজাকে পরিচ্ছদ পরানোর সময় রানীসহ সখিরাও বাহ্ বাহ্ করেছে রাজার দিকে তাকিয়ে। রাজা জন্মদিনের পোশাকে দরবারে বসার পরও সবাই ধন্য ধন্য করছিল। অবুঝ শিশুটি বেজন্মা হওয়ার পরিণাম জানতে না পেরে সত্য কথাটি বলে ফেলেছে। অবুঝ শিশুর কাছে বুঝ পেয়ে অন্দরমহলের দিকে দৌড় দেন রাজা।
এটি পৌরাণিক গল্প। পুরাকালের রাজরাজড়াদের নির্বুদ্ধিতা নিয়ে গল্পের শেষ নেই। নির্বুদ্ধিতার কারণে মাঝে মধ্যে ভয়ানক সমস্যায় পড়তেন তারা। আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম শিখরে। আইকিউ-এর দিক থেকেও আমরা শীর্ষে। শীর্ষে কেন হবো না, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যত রকম যুদ্ধের মুখোমুখি আমরা হই, পৃথিবীর আর কেউ তত হয় না। এর পরও পৌরাণিক রাজরাজড়াদের চেয়ে আমাদের সমস্যা ভয়ঙ্কর। আমাদের সমস্যা নির্বুদ্ধিতার কারণে নয়, অতি বুদ্ধির কারণে। অতি বুদ্ধিমানেরা সবাই রাজনীতিতে, অতি সমস্যাও রাজনীতিতেই। আমাদের দেশে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ার ভয় ‘ল্যাংটা রাজা’র পর্ষদবর্গের ভয়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর। দলের সুরে সুর মিলিয়ে যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আঁশ, বেসুরে তাল কাটলেই শেষ। তাল হারিয়ে হিরো থেকে জিরো হওয়ার খবর যেমন শোনা যায়, তেমনি শোনা যায় তাল মিলিয়ে জিরো থেকে হিরো হওয়ার খবরও।
‘উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে’ সরকারের অঙ্গসংগঠন থেকে শুরু করে এমন কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই যারা এই সুরে সুর মেলায়নি। দেড় মাস আমেরিকা অবস্থান শেষে সিইসি দেশে ফিরে, ‘আমি দেশে থাকলেও ভোট জালিয়াতি হতো’ মর্মে সাংবাদিকদের কাছে মত প্রকাশ করেন। তিনি দেড় মাস বিদেশ থাকাকালে বিদেশী মিডিয়ায় নির্বাচনের খবরাখবর পেয়েছেন। দেড় মাস যাদের পরিবেষ্টনে ছিলেন তারা ক্ষমতাসীনদের মতো নন। ক্ষমতাসীনদের প্রতিকূল পরিবেশে তাকে বাস করতে হয়েছে দেড়টি মাস। কথায় বলে, ‘সৎসঙ্গ স্বর্গবাস অসৎসঙ্গ সর্বনাশ’।
মাত্র দেড় মাসেই তিনি অনেকটা বদলে গেছেন। তাই দেশের মাটিতে পা রাখতে না রাখতেই বলতে পেরেছেন, ‘আমি দেশে থাকলেও ভোট জালিয়াতি হতো।’
দায়হীনরা রবিঠাকুরের ‘চিন্তা’ প্রবন্ধের গদাধরের মতো। সিইসি কাজী রকীবউদ্দিন আহমদ গদাধরের মতো নন। বেসুরে কথা বলার পর অনেকের হাল বেহাল হয়েছে, সিইসির ভাগ্যে কী হবে জানি না। সম্বিৎ ফিরে পেলেই হয়তো আবার স্বরূপে প্রকাশিত হবেন। কাজী রকীবউদ্দিন আহমদ থেকে শুরু করে রিটার্নিং, প্রিজাইডিং, পুলিং এমনকি শান্তিশৃঙ্খলা কাজে নিযুক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স সবাই সিইসির অধীন। স্বাধীনভাবে কথা বলা ও কাজ করার জন্য সংবিধানই তাকে ক্ষমতা দিয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিক্যাল ১১৮(৪) The election commission shall be independent in the exercise of its function and subject only to this constitution and any other law.
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে, যার এক দিকে নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ ও আইডি নাম্বার রয়েছে। পাশেই বাম দিকে রয়েছে ছবি। যে তারিখে ছবিটি তোলা হয়েছে, সে তারিখেই ছবির নিচে রাখা হয়েছে ভোটারের স্বাক্ষর বা টিপসই। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভোটারকে সামনে দাঁড় করিয়ে বিশেষ ক্যামেরায় ছবি তুলে, সাথে সাথে নিয়েছে আঙুলের ছাপও। অপর পৃষ্ঠায় পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ রয়েছে প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও তারিখ। উৎসবমুখর পরিবেশে এলাকায় অবস্থান করে বড় নিখুঁতভাবে করা হলেছিল ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে সার্চ করলে পলকের মধ্যে স্ক্রিনে আঙুলের ছাপসহ ভোটারের ছবি এসে হাজির হবে। জালভোট ঠেকানোর জন্য এসব করতে গিয়ে রাষ্ট্রের তহবিল থেকে খসে গেছে কয়েক শ’ কোটি টাকা। প্রিজাইডিং অফিসার ছাড়াও প্রতিটি বুুথে রয়েছে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও দু’জন পুলিং অফিসার। তাদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সশস্ত্র আনসার, পুলিশসহ বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্মির স্ট্রাইকিং ফোর্স। দায়িত্ব পালনকালে নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করলে আর্মির স্ট্রাইকিং ফোর্স কল করলেই ছুটে আসবে। ব্যালটপেপারের গোড়ার অংশে ব্যালট নম্বরসহ ভোটারের স্বাক্ষর বা টিপসই রেখে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের মাথায় লাগানো হয় অমোছনীয় কালি। কালির পোঁছ দিয়ে ভোটারের হাতে ব্যালটপেপার দিতে হয়। অতি চমৎকার সিস্টেম। ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোবট নন যে, যন্ত্রের মতো ব্যালট ছিঁড়বেন আর বাক্স ভরবেন। ছবিযুক্ত ডিজিটাল ভোটারলিস্ট হাতে থাকলে সঠিক ভোটার প্রিজাইড করার জন্য হাইলি কোয়ালিফাইড গেজেটেড অফিসার কেন, দুগ্ধপোষ্য শিশুরও ভুল হওয়ার কথা নয়। এ অবস্থায় জালভোটের চিন্তা মাথায় ঢুকলেই গায়ে ১০৭ ডিগ্রি জ্বর উঠবে।
নতুন পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ, শুরুটা ভালোই ছিল। ভালোর বিষয়টি নিরপেক্ষতার সাফাই গেয়ে বাইরে গলা ফাটিয়ে প্রচার করলেও ভেতরে ভেতরে জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছিল কেউ কেউ। বাড়ি পুড়ে খই ভাজা কে কতক্ষণ সহ্য করতে পারে! নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করার পর বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাচনের শেষ দিকে সিইসির হাল করেছিল কবিগুরুর ছেলেভুলানো ছড়ার খোকার মতো,
‘খোকা গেল মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে,
নাও নিয়ে গেল বোয়াল মাছে ছিপ নিয়ে গেল চিলে।’
এরপর সিইসির একটাই কথা থাকে, ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমার বলার কিছু ছিল না।’
ইংল্যান্ডের পরলোকগত পার্লামেন্টারিয়ান টনি বেন বলে গেছেন, ‘যারা আপনাদের শাসন করেন, তাদের ক্ষমতা থেকে সরানোর কোনো পথ যদি না থাকে, তাহলে আপনি যে ব্যবস্থায় বাস করছেন, সেটা গণতন্ত্র নয়।’ এ বিষয়ে এক নিবন্ধে মে. জে. অব: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেছেন, ‘যদি গণতন্ত্র না হয়, তাহলে কী? যেহেতু রাজা বা রানী নেই তাহলে সেটি রাজতন্ত্রও না। অতএব এটার একমাত্র আখ্যা পার্লামেন্টারি ডিক্টেটরশিপ বা গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার।’
ক্ষমতাসীন দল কথায় কথায় বলে, দেশ এখন ভালো চলছে। বিষয়টা এ রকম, বাড়িতে যন্ত্রণায় ছটফট করা রোগী থাকলে কেউ স্বস্তিতে থাকে না। এ অবস্থা থেকে উদ্ধারের পথ দু’টি, হয়তো উপযুক্ত চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলাÑ নয়তো ফ্রিজিং করে ফেলা (টিভি দেখতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় পাশ্চাত্যের পাষণ্ড মা নিজ সন্তানকেই ফ্রিজিং করেছিলেন)।
গণতান্ত্রিক দেশ দ্বিতীয়টি সমর্থন করে না। প্রথম ব্যবস্থা কষ্টকর হলেও উত্তম। ব্যর্থতায়, রাষ্ট্র পরিচালনা দুই ভাইয়ের গাভী বণ্টনের মতো হয়ে পড়বে।
২০০৮ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। একসময় সব দলের সম্মিলিত ইচ্ছায় নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হয়েছিল। কেয়ারটেকার সরকার বহাল থাকলে সরকার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতাও বহাল থাকে। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আবার সরকারে থাকা ক্ষমতাসীনদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। সারা বিশ্ব দুই ধরনের সরকারব্যবস্থার জন্য আমেরিকা ও ব্রিটিশ সরকারকে অনুসরণ করে থাকে। দুই ধরনের সরকারের তুলনামূলক আলোচনা পড়তে গিয়ে পড়েছিলাম, ‘ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ছেলেকে মেয়ে এবং মেয়েকে ছেলে বানানো ছাড়া সব কিছু করতে পারে।’ ক্ষমতাসীন সরকারও তাই করল। প্রাথমিকভাবে সফলও হলো।
সমসাময়িককালে ইংল্যান্ডে জন্ম হয়েছিল দুই দিকপালের। একজন উইলিয়াম শেক্সপিয়র, অপরজন ফ্রান্সিস বেকন। চিন্তা-চেতনার দিক থেকে দু’জন দুই মেরুর বাসিন্দা। তৎকালীন ইউরোপবাসী বেকনের মতবাদকে গ্রহণ করে। দু’জনের তুলনামূলক আলোচনা করতে গিয়ে জনৈক ইংরেজ লেখক বলেছিলেন, ‘আপাতত বেকনের ঘোড়াটা আগে চলে গেছে। দৌড়ের মাঠ কিন্তু এখানেই শেষ নয়।’ ইতিহাস বলে, যে হাতিয়ার ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় টিকে থাকছে সেই একই হাতিয়ার ব্যবহার করে বিরোধী দলও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইবে। উভয় ক্ষেত্রেই শিলনোড়ার পেষণে পেষিত হতে হবে দেশবাসীকে।
শুরু করেছিলাম ল্যাংটা রাজার পৌরাণিক গল্প দিয়ে, শেষ করতে চাই জামাই-শ্বশুরের রম্যরসের মাধ্যমে। জামাই ও শ্বশুর চালাক-চতুরতার দিক দিয়ে কেউ কারো চেয়ে খাটো নয়। জামাই নানা অজুহাতে শ্বশুরবাড়ি পড়ে থাকে। শত হোক মেয়ের জামাই বলে কথা, বাড়িতে থাকলে ভালোমন্দ একটা কিছু আয়োজন করতে হয়। তা করতে গিয়ে শ্বশুর হাঁপিয়ে উঠছিল। মুখে কিছু না বলে কৌশলে জামাইকে তাড়াতে চান। জামাই শুচিবাই রোগী। সকাল-বিকেল সাবান-সোডা খোঁজে। সাবান-সোডা ছাড়া জামাইর হাতমুখ ধোয়া চলে না। সাবান-সোডার অভাবে শুকনো খৈল দিয়েও হাতমুখ ধোয়া চলে। একদিন এমনই খরার সময় জামাই শ্বশুরবাড়ি গিয়ে হাজির। সাবান-সোডা নেই। তড়িঘড়ি শুকনো খৈল এনে হাজির করেন শ্বশুর মিয়া। শুকনো খৈল দু’হাতে কচলিয়ে নাকমুখে মাখতেই বিশ্রী গন্ধে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে পড়ার উপক্রম হয়। শ্বশুরের দুর্বুদ্ধি জামাইর বুঝতে অসুবিধা হয় না। শ্বশুরকে কিছুমাত্র বুঝতে না দিয়ে জামাই মিয়া ভালোয় ভালোয় বাড়ি চলে আসে। কিছু দিন পরই শ্বশুর মিয়া যান জামাই বাড়ি। শ্বশুর মিয়া বয়স্ক লোক। শরীরসহ নাকমুখে সরিষার তেল না মেখে আরাম পান না। চৈতিরোদে অস্থির হয়ে শীতল পানিতে হাতমুখ ধুয়ে তেল খুঁজতে থাকেন। খাঁটি সরিষার তেল নাকেমুখে মাখলেই আরাম। জামাই তাড়াতাড়ি গিয়ে বোতল নিয়ে আসে। শ্বশুর তেল হাতে নিয়ে নাকেমুখে মাখতেই ঝাঁজালো গন্ধ নাসারন্ধ্র দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। চিৎকারসহ, ‘জামাই মিয়া কিসের তেল দিলেন, পেটের নাড়িভুঁড়ি সব বের হয়ে আসতে চাইছে?’ ‘ঐ যে রাখছিলেন খৈল, সেই খৈলের এই তৈল’ বলে উত্তর দেয় জামাই মিয়া।
লেখক : আইনজীবী