প্রেম মানে না ‘উঁচু-নিচু’
ব্রাজিলের এলিসানি দা ক্রুজ সিলভা লম্বায় ছয় ফুট আট ইঞ্চি। যে ছেলেটির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেম সেই ফ্রান্সিনালদো দা সিলভা কারভাইয়োর উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। পাশাপাশি দাঁড়ালে ১৮ বছর বয়সী এলিসানির কাঁধের নিচে পড়ে থাকেন ফ্রান্সিনালদো।
এ নিয়ে দুজনের কারও মনে খেদ নেই। এক ফুট চার ইঞ্চির শারীরিক ব্যবধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ভালোবাসার মাঝে। কিছুদিন আগে বাগদান সম্পন্ন করা এই যুগল খুব শিগগিরই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, বিয়ের পর এলিসানি হবেন পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘাঙ্গী বধূ। অস্বাভাবিক লম্বা দেহের অধিকারী এলিসানীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে একটি টিউমার রয়েছে। এ টিউমারটির কারণেই হরমোনের তারতম্য ঘটায় এমন বেঢপ লম্বা দেহের অধিকারী হতে হয়েছে এলিসানিকে।
প্রেমিক ফ্রান্সিনালদো বলেন, ‘বরাবরই লম্বা মেয়ে পছন্দ আমার। একদিন দোকানে পাউরুটি কিনতে গিয়ে দূর থেকে চোখে পড়ে এলিসানিকে। দেখেই ভালো লেগে যায়। আমি যেমন তাকে লক্ষ্য করছিলাম, সে ও আমাকে একইভাবে লক্ষ্য করছিল। সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করলাম, আমি ওর সঙ্গেই থাকতে চাই। সেই থেকে ওকে আমার সব সময়ই সুন্দর মনে হয়।’
এলিসানি বলেন, ‘আমাদের যখন পরিচয় হয়, তখন আমি কেবল ১৬ বছরে পা দিয়েছি। তখন আমি কিছুটা শিশুতোষ ছিলাম। আমি ওকে পছন্দ করতাম না। দেখা হলেই আক্রমণাত্মক আচরণ করতাম।’
তবে অন্য মেয়েদের সঙ্গে ফ্রান্সিনালদোকে মিশতে দেখলেই হিংসা হতো এলিসানির। আর এভাবেই অচিরেই তাঁর রাগ গলে ভালোবাসায় রূপ নেয়।
এলিসানি ও ফ্রান্সিনালদোর ভালোবাসার এ সম্পর্ককে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কিন্তু এই প্রেমিক যুগলের মতে, ‘আমাদের সম্পর্কটা অন্যরকম। কেননা আমরা একে-অপরকে খুব ভালো বুঝতে পারি।’
পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার এবং এ সংক্রান্ত হরমোনের তারতম্যগত জটিলতার কারণে এলিসানির গর্ভধারণ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই বয়স মাত্র ১৮ বছর হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের পর পরই সন্তান ধারণের চেষ্টা করবেন তিনি। যদি নিজে সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তবে সন্তান দত্তক নেবেন বলে জানান দীর্ঘাঙ্গী এই তরুণী।