গ্রীষ্মেও পঞ্চগড়ে শীত, কম্বল গায়ে ঘুম
গ্রীষ্মকালের খরা আর দাবদাহে যখন অতিষ্ঠ মানুষ তখন দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সারাদিনই মেঘলা থাকছে আকাশ। প্রতিদিনই ঝরছে বৃষ্টি। সন্ধ্যার পরই নামছে শীত।শীতকালের মতই রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। পাখা চালানো তো দূরের কথা ঠাণ্ডায় কুঁকড়ে যেতে হচ্ছে। লেপ-কাঁথা-কম্বল গায়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। সকালে সূর্য ওঠার পরও অনুভূত হচ্ছে বেশ শীত।
হঠাৎ করই আবহাওয়ার এ পরিবর্তনের কারণে দেখা যাচ্ছে নানা অসুখ-বিসুখ। ব্যাপকহারে না হলেও জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশই আসছেন ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও কাঁশি নিয়ে।
বুধবার সকালেও জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মুষলধারে। আকাশ জুড়ে মেঘ। কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিলেছে। এরপরেই হারিয়ে গেছে সূর্য। পূবালী হাওয়ার সঙ্গে আবারো শুরু হচ্ছে বৃষ্টি।
জলবায়ুর পরিবর্তনে এ বছর পঞ্চগড়ে বৃষ্টির দেখা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা ছিল। পানির অভাবে কিছুদিন আগেও বোরো ধানসহ রবি মওসুমের ফসল পড়ে হুমকির মুখে। আম-লিচু ঝরে যেতে থাকে। মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যায়। বৃষ্টির জন্য মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
কিন্তু ৩০ এপ্রিল রাতেই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর থেকে বৃষ্টির আর বিরাম নেই। সারাক্ষণই আকাশে ভাসছে মেঘ। যখন তখন হচ্ছে বৃষ্টি।
আগে পানির অভাবে যে ফসল হুমকির মুখে পড়েছিল, এখন অতিবৃষ্টিতেও একই শঙ্কা দেখা গেছে। বিশেষ করে টমেটো ক্ষেত নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছে কৃষকরা। কারণ বৃষ্টির পানি বেশি সময় ধরে জমিতে আটকে থাকলে টমেটো গাছ মরে যাবে। একই অবস্থা ভুট্টার ক্ষেতেও। অতিবৃষ্টিতে ফলন কমে যেতে পারে।