অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
টাকার যোগান না পেয়ে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ীড় উন্নয়ন কাজ করতে পারছে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কারণে বিদ্যালয়হীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ মুখ থুবড়ে পড়ছে। আটকে গেছে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া। মন্ত্রণালয়ের কাছেড় বরাদ্দ চেয়েও প্রয়োজনীয় টাকা পাওয়া যায়নি। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ড়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,ড় জাতীয়করণ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়া ও অবসর ভাতার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের সিলিং অনুযায়ী রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে নির্ধারিত সিলিংয়ের অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা জিওবি বরাদ্দ চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু মাত্র ১২১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এ কারণে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পূর্ববর্তী বছরের উপবৃত্তি ২০১৪-১৫ সালে দিতে হবে। কারণ এ প্রকল্পে আরও ১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। এ ছাড়া তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য আগামী অর্থবছরে জিওবি বরাদ্দ কমপক্ষে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বিদ্যালয়হীন গ্রামে ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শেষ হবে।ড়এই অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেটে জিওবি বরাদ্দ সিলিংয়ের অতিরিক্ত আরও ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। কিন্তু এই অতিরিক্ত টাকা না পেলে সব জায়গায় বিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব হবে না। বৈঠকে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেনিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতেড়সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আলাদা বোর্ড গঠনের সুপারিশ করা হয়।ড়কমিটির সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, শামসুল হক চৌধুরী, আবদুর রহমান, নজরুল ইসলাম বাবু, আবুল কালাম, আলী আজম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজল বেগম বৈঠকে অংশ নেন।