ডাক্তার সঙ্কটে বকশীগঞ্জের ৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অচলাবস্থা
খবর বাংলা২৪ ডেক্স: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো হলো- সাধুর পাড়া ইউনিয়নের আইরমারী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিলক্ষিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বগারচর ইউনিয়নের সারমারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ঘাসিরপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র । মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুধু একজন মেডিকেল অফিসার কর্মরত রয়েছেন। বাকি ৪টি শূন্য রয়েছে। এসব উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল অফিসার না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ১ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন মেডিকেল সহকারী, ১ জন মেডিকেল ফার্মাসিস্ট ও ১ জন অফিস সহায়ক পদ রয়েছে। খেওয়ারচর কেন্দ্রটিতে মেডিকেল অফিসার থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। এ কারণে এলাকাবাসী এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটিতেও ডাক্তারের মুখ দেখছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, আইরমারী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটিতে মেডিকেল সহকারী আবু সাঈদ অফিস সহায়ককে নিয়ে বসে আছেন। সেখানে কোনো রোগী নেই। মেডিকেল সহকারী আবু সাঈদ জানান, ডাক্তার না থাকায় ও সময়মতো ওষুধ সরবরাহ না থাকায় প্রতিদিন কয়েকজন রোগী আসেন ।
আইরমারী গ্রামের ইউপি সদস্য আজাদ খান জানান, নিয়মিত ডাক্তার না থাকায় রোগীরা এখন আগের মতো আসেন না। নিলক্ষিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও সারমারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১১টা পার হলেও অফিস সহায়ক ছাড়া কেউ নেই। আবার অনেক সময় যাদের পোস্টিং আছে তারাও ঠিকমতো অফিসে আসেন না। নানা কারণেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোর বেহালদশা ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অবিলম্বে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় একজন করে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দিয়ে গ্রামীণ ও অবহেলিত জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিরুল বারী জানান, সারাদেশে ডাক্তার সঙ্কট চলছে। এ কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় মেডিকেল অফিসার পদগুলো শূন্য রয়েছে। তবে ৩৩তম বিসিএসের ডাক্তাররা নিয়োগ পেলেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোর সঙ্কট কেটে যাবে।
আইরমারী গ্রামের ইউপি সদস্য আজাদ খান জানান, নিয়মিত ডাক্তার না থাকায় রোগীরা এখন আগের মতো আসেন না। নিলক্ষিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও সারমারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১১টা পার হলেও অফিস সহায়ক ছাড়া কেউ নেই। আবার অনেক সময় যাদের পোস্টিং আছে তারাও ঠিকমতো অফিসে আসেন না। নানা কারণেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোর বেহালদশা ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অবিলম্বে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় একজন করে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দিয়ে গ্রামীণ ও অবহেলিত জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিরুল বারী জানান, সারাদেশে ডাক্তার সঙ্কট চলছে। এ কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোয় মেডিকেল অফিসার পদগুলো শূন্য রয়েছে। তবে ৩৩তম বিসিএসের ডাক্তাররা নিয়োগ পেলেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোর সঙ্কট কেটে যাবে।