প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা নেয়া হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কাগজে ছাপা প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি দূর করতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা। তিনি বুধবার সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের উদ্যোগে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কেন্দ্রে ভবিষ্যৎ আইটি লিডার (ফাস্ট ট্রাক ফিউচার লিডার) হতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের অনলাইন পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন।বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, দেশের সাড়ে ৬ হাজার তরুণ-তরুণীর মধ্য থেকে আইটি শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য এলআইসিটি প্রকল্প অনলাইনে যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজন করেছে তা বর্তমানে প্রচলিত ধারার পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। জুনাইদ বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার মতো একটি নতুন পদ্ধতি শুরু করার সময় কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, কিন্তু এসব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হলে তা আমাদের সামনে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত হতে পারে। আজকের এ অনলাইন পরীক্ষা তার প্রমাণ। তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষাসমূহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়া হলে তা চাকরি প্রার্থীদের ডিজিটাল মানসিকতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এলআইসিটি প্রকল্প অনলাইনে নিবন্ধনকৃতদের মধ্য থেকে বাছাই করা মোট সাড়ে ৬ হাজার আগ্রহী প্রার্থীকে অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করেছে। এ পরীক্ষা ঢাকার বিসিসির কেন্দ্রে ছয় দিন ধরে এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে বিসিসির ৬ টি কেন্দ্রে ৩ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় প্রায় ৯০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৪০ জন এবং বাকি সবাই রাজশাহী ও চট্টগ্রামে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও), ম্যানেজমেন্ট এবং আইটি সাপোর্ট সার্ভিসে প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে। মনোনীতদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কারিকুলাম অনুসরণ করে এক মাসের আবাসিক ও দুই মাসের ট্রাকভিত্তিক বিশেষায়িত বেসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।