ঝগড়াটে স্বভাব মৃত্যু ডেকে আনে
সারা রাত ধরে পাশের বাড়িতে পার্টি। কান ঝালাপালা। কিছু একটা বলতেই হবে। অথবা মেয়ে কিছু করেছে। এখনই বকা দেবেন বলে ভাবছেন। তাহলে আরেকবার ভাবুন।
ডেনিস গবেষকেরা দাবি করছেন, যাঁরা সব সময় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বা প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করেন, তাঁদের মাঝ বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ। আর পুরুষদের মধ্যে যাঁরা বেকার, তাঁরা বিশেষভাবে এই ঝুঁকিতে রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২০০০ সাল থেকে ডেনমার্কের প্রায় এক হাজার নাগরিকের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ওপর ১১ বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে এর ফলাফল সূত্রে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান গবেষকেরা। এসব নাগরিকের বয়স ২০০০ সালে ৩৬ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে ছিল।
১১ বছর শেষে গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪ শতাংশ নারী ও ৬ শতাংশ পুরুষ মারা যান। আর এই মৃত্যুর সঙ্গে গবেষকেরা বাগবিতণ্ডার সুস্পষ্ট সম্পর্ক দেখতে পেয়েছেন।
যাঁরা তাঁদের সামাজিক বন্ধনের সম্পর্কগুলোতে, যেমন জীবনসঙ্গী এবং আত্মীয় বা বন্ধু বা প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করেন, এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ বা তিন গুণ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেকের অকাল মৃত্যুর সঙ্গে জীবনসঙ্গী বা সন্তানদের কারণে সৃষ্ট উদ্বেগ বা তাদের দাবিদাওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। তবে এটা তাত্পর্য কোনো কারণ নয়।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিক্কি লান্ড বলেন, সম্পর্কের মধ্যকার বিরোধ মোকাবিলা করতে শিখতে হবে। এটি করতে পারলেই জীবন রক্ষা পাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে চাহিদা ও উদ্বেগ সামলানোর কৌশল জানতে হবে। একই সঙ্গে দম্পতি ও পরিবারের মধ্যে সংঘাত কমাতে পারলে অকালে মৃত্যুর ঘটনা কমবে।
এর আগে গবেষণায় বলা হয়েছিল দৃঢ় বন্ধুত্ব এবং স্থায়ী দাম্পত্য সম্পর্ক সুস্বাস্থ্যের জন্য হিতকর।