মেলান্দহে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন নেই
জামালপুরের মেলান্দহে সৃজনশীল মেধা অন্বেষন শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন করা হয়নি। এনিয়ে শিক্ষক-অভিভাবক ও সচেতন মহলে প্রশ্নকর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।
১০ মে শনিবার বেলা ১১টায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এর আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ’ক’ শাখা। ৯ম-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ’খ’ শাখা এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ’গ’ শাখায় ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করে। ৪৩টি মাধ্যমিক স্কুল, ২৪টি আলীয়া মাদ্রাসা এবং ১০টি কলেজের মধ্যে মোট ৯৮জন প্রতিযোগি অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শিক্ষা অধিদপ্তরের কারিকুলাম অনুযায়ী অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারে ভাষা ও সাহিত্য, গণিত ও কম্পিউটার, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ এই ৪টি বিষয় নির্ধারণ করা হয়।
ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে ক-শাখার প্রথম প্রশ্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’। দ্বিতীয় প্রশ্ন ইউর ক্লাশ টিচার’।অনুরুপভাবে খ-শাখার প্রথম প্রশ্ন ’মাতৃভাষায় শিক্ষার গুরুত্ব’ ।দ্বিতীয় প্রশ্ন ’ইউর স্কুল ক্যাম্পাস’। খ-শাখার একটি প্রশ্নবাদে বাকিগুলো বিষয়ের সাথে প্রশ্নের অমিল থাকায় চৌকষ শিক্ষক-অভিভাবকরা কড়া সমালোচনায় প্রশ্ননির্মাতাদের যোগ্যতার বিষয়ে মুখরোচক সমালোচনা করেন। বিষয়ের সাথে প্রশ্নের কোন মিল নাথাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেলক হক জানান-আমি যেহেতু বিচারক নির্বাচন করে দিয়েছি। বিচারকের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার সুযোগ নেই। প্রতিযোগিতায় উপস্থিতির বিষয়ে বলেন যেভাবেক সকল প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। সেভাবে তারা গুরুত্ব দেয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে আমি অসহায়। প্রশ্নকর্তাদের কয়েকজন জানান-শিক্ষার্থীরা এবিষয়ে উত্তর লেখতে পারবে না। তাই সহজভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিষয় ঠিক রেখে সহজভাবে প্রশ্ন করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা কোন উত্তর দিতে পারেন নি। প্রতিযোগিতার বিচারক ও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন জানান-সব কিছু ঠিক থাকলেও সব কথা সব জায়গায় বলা যায় না।
প্রখ্যাত নাট্যকার-সাস্কৃতিক কর্মী ও পৌর আ’লীগের সভাপতি আসাদুলাহ ফারাজী জানান-বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন হয়নি। ভাষা ও সাহিত্য এবং বঙ্গবন্ধু দু’টি দুই জিনিষ। তবে বঙ্গবন্ধুর বিষয়েও কোন সু-স্পষ্ট প্রশ্নও হয়নি। এর চেয়ে বেশী বলা যাবে না।
উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাংস্কৃতিক কর্মী আবুল মনসুর খান দুলাল বলেন-বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন করতে শিক্ষকদেরও প্রচুর জানা-শোনা দরকার। হয়ত তাদের মধ্যে তা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান-কঠিন-সহজের বিষয়ে কি আছে? বিষয় ভিত্তিকই প্রশ্ন হবার কথা। এখন আমি একটু দুরে আছি। আপনি শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলুন। জেলা প্রশাসক শাহাব উদ্দিন খানের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি জানান-দু:খ জনক বিষয় জেনে ভাল হলো। অবশ্যই নজরদারি করা হবে।