সুন্দর চেহারার জন্য মুখ কীভাবে ধোয়া ভালো?
সারাদিনে কতবারই তো মুখ ধুয়ে থাকেন আপনি। কেন মুখ ধুতে হয়? পরিষ্কার থাকতে আর অবশ্যই নিজেকে সুন্দর দেখাতে। কিন্তু এই যে মুখ ধুচ্ছেন প্রতিনিয়ত, সেটা ঠিক নিয়মে হচ্ছে তো? এই মুখ ধোয়ায় আপনার ত্বকের কোনো উপকার হচ্ছে কী? কিংবা আপনি কি জানেন নিজের চেহারাকে সজীব রাখতে মুখ ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি?
ত্বকের সৌন্দর্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে পানি দিয়ে মুখ অবশ্যই ধোয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত দু’বার পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা, তারা ফুটানো পানি দিয়ে মুখ ধুলে ভালো করবেন। এতে জীবাণু সংক্রমনের সম্ভাবনা কমে যায়। যাদের ত্বক সেনসিটিভ, তারাও ফুটানো পানি ব্যবহার করবেন সকালে উঠে একবার মুখ ধোবেন কারণ রাতেরবেলা ত্বকের কোষ খুব বেশি কার্যকরী থাকে না এবং সন্ধ্যেবেলা অবশ্যই মুখ ধুতে হবে।
যদি আপনাকে অনেক বেশি সময় ঘরের বাইরে বা ধুলোবালিতে কাটাতে হয় তবে মুখ ধোয়ার পরিমাণ আরও একবার বাড়িয়ে দিতে হবে। অনেকে শুধু পানিতে মুখ ধুতে চান না, তাছাড়া আজকাল কেবল পানি দিয়ে ঢুলে সমস্ত ময়লাও পরিষ্কার হয় না। যদি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হয় তবে এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা আপনার ত্বকে মানানসই এবং যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারেন।
মুখ ধোয়ার সময় ঠান্ডা বা সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি গরম বা খুব ঠাণ্ডা একেবারেই চলবে না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। বেশি গরম পানিতে র্যাশ হতে পারে।
অনেকেই বলেন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের জন্য ভালো। এটার আসলে তেমন কোন উপকার নেই। বরং ডাবের পানি খেলে কাজে লাগবে।
মুখ মোছার সময় খেয়াল রাখতে হবে। ঘষে ঘষে মুখ একেবারেই মুছবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। হালকা করে তোয়ালে দিয়ে মুখে চেপে চেপে মুছবে। এটি আপনার ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর ফলে ত্বকের রক্ত সংবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
মুখ মোছার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নেবেন।