নারায়ণগঞ্জে সাত খুন : বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত চায় বিএনপি
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি চায় বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের নেতারা আজ রোববার এ দাবি জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জ সফরের দিন নিহত সাতজনের পরিবারকে প্রধানমনন্ত্রীর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানোরও সমালোচনা করেছে দলটি।
একই দিনে নিহত সাতজনের পরিবারকে প্রধানমনন্ত্রীর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে বলে তাঁরা মনে করেন না।
আজ রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খানের কারামুক্তি উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
নারায়ণগঞ্জে নিহত সাতজনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ১৪ মে সেখানে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৪ মে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়টি বিএনপি কীভাবে দেখছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তাঁরা বিরোধী দলকে কর্মকাণ্ড করতে দিতে চায় না। বিএনপির চেয়ারপারসনের কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। একই দিন প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের ডেকেছেন। এটি কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি না।’ আওয়ামী লীগের এ আচরণে সহনশীলতার লেশমাত্র নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এলিট ফোর্স র্যাবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে অপহরণ, খুন-গুমে সরকার র্যাবকে ব্যবহার করছে। এখন আর র্যাবের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, জনগণের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় কারা জড়িত তা এখন পরিষ্কার। কিন্তু সরকার মূল বিষয় ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে তিনি আবারও অভিযোগ করেন।
তদন্ত কমিটি চাই বিএনপি
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সাতখুনের ঘটনা তদন্তে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করার প্রস্তাব করবে বিএনপি।
এরপর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি করার দাবি জানান। বিএনপির দাবি, সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি, সাবেক একজন মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও একজন মানবাধিকার সমন্বয়ে তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি করতে হবে।