প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেনের স্ত্রী, মা ও নিজের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে আজ রোববার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এঁরা হলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদ্য বিদায়ি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা, বর্তমানে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতার হোসেন ভূঁইয়া, বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এম মাহবুব উল আলম ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খিজির আহমেদ। এঁদের মধ্যে প্রথম চারজনের নামে প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছিলেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক যতন কুমার রায়। তবে গত ২৩ এপ্রিল রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা তিন মামলার একটিতেও তাঁদের আসামি করা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ড. খন্দকার শওকত হোসেন ২০০১ সালে সম্প্রসারিত উত্তরা প্রকল্পে নিজের নামে তিন কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পরে সেটাকে অনিয়মের মাধ্যমে তিন কাঠা থেকে পাঁচ কাঠায় রূপান্তর করেন। সেখান থেকে আবার দুই কাঠা জমি বিক্রি করে দেন। কিন্তু পরে ওই জমি ডেভালপমেন্টের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় পুরো পাঁচ কাঠার আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) প্রদান করেন এ সচিব। একইভাবে পূর্বাচল প্রকল্পে ২০০৪ সালে শওকত হোসেনের স্ত্রী ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ড. আয়েশা খানমের নামে সাড়ে সাত কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রথমে ১০ কাঠা এবং পরে ওই জমি সাড়ে ১২ কাঠায় উন্নীত করেন। এ ছাড়া রাজউকের উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে মা জাকিয়া আহমেদের নামে তিন কাঠার প্লট নিয়েছেন এই সচিব। একই পন্থায় ওই তিন কাঠার প্লটকে আয়তনে বাড়িয়ে পাঁচ কাঠায় উন্নীত করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্লট বরাদ্দের অনিয়মে মূল আসামি সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন। কারণ, রাজউকের এসব প্রকল্পে একটি পরিবারের জন্য কেবল একটি প্লটই বরাদ্দের নিয়ম রয়েছে। সেখানে সচিবের মা ও স্ত্রী যদি পৃথক আবেদন করেন, তা নিশ্চয় সচিবের অজান্তে নয়। তাই সচিবকে মূল আসামি হিসেবে তাঁর নামে মামলা করা হয়েছে। আর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে রাজউক চেয়ারম্যানসহ অন্য যাঁদের নামে মামলার সুপারিশ করা হয়েছিল, তাঁদের সম্পৃক্ততা এখন বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।