সাংবাদিককে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতির ঘটনায় তদন্ত শুরু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিককে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসক একরামুল বারীর নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত দল আহত সাংবাদিক গুলবার আলীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া শাহনাজের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গুলবার আলী জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কী ঘটেছিল তা বলেছেন। কোন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কী বলেছিলেন, তাও বলেছেন। তাঁরা ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের নাম বলতে না পারলেও তাঁদের চেহারার বর্ণনা দেন।  একই সঙ্গে যে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের পাশে বসে তাঁরা সাংবাদিকদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তাঁর নাম বলেছেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির অপর তিন সদস্য হাসপাতালের উপপরিচালক আ স ম বরকতউল্লাহ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আজিজুল হক ও মাহাবুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদ, সদস্য রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিক।

তদন্ত কমিটির প্রধান একরামুল বারি বলেন, তদন্ত কমিটি প্রথমে সাংবাদিক গুলবার আলী ও তাঁর স্ত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এঁদের মাধ্যমে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সাক্ষ্য নিয়ে ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে শনাক্ত করে তাঁদেরও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া গুলবার আলী যে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন, সে ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

৬ মে আলোকচিত্রী গুলবার আলীকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সনদপত্র প্রদান থেকে বিরত থাকা যাবে না কেন—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের রুলের চিঠি পাওয়ার পর গতকাল শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক একরামুল বারীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ১৩ মের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend