স্বামীকে মাতাল বানিয়ে প্রেমিককে দিয়ে হত্যা
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে খুনের অভিযোগে গতকাল শনিবার তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ওই নারী তাঁর স্বামীকে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাইয়ে ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকের সহায়তায় শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, সুধা চন্দ্রের কিশোর প্রেমিকটি প্রতিবেশী আরেক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার ছেলে। তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল দক্ষিণ দিল্লির সুব্রত পার্ক এলাকার নিজ বাড়িতে স্বামী সার্জেন্ট রমেশ চন্দ্রকে (৪০) শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী সুধা চন্দ্র (২৮)।
হত্যাকাণ্ডের পর সুধা তাঁর প্রতিবেশীদের বলেন, তাঁর স্বামী হূদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রমেশ চন্দ্রকে দ্রুত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাঁর পরিবারকে একটি প্রাথমিক মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়।
তবে ১ মে রমেশ চন্দ্রের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর চিকিত্সকেরা নিশ্চিত হন যে তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
৬ মে তারিখে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং সন্দেহের তির রমেশ চন্দ্রের স্ত্রী সুধার দিকেই যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে সুধা নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন, কিশোর প্রেমিকের সহায়তার স্বামীকে হত্যা করেছেন তিনি।
সুধা জানান, গত এক বছর ধরে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটি প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসত। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি টের পাওয়ার পর স্বামী রমেশ চন্দ্রের মদ্যপানের অভ্যাস বেড়ে যায়। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন সুধা। স্বামী রমেশকে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাইয়ে তিনি ও তাঁর প্রেমিক রমেশকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।
সুধা ও রমেশ চন্দ্রের চার বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু রয়েছে।