নূর হোসেনকে কলকাতায় পার করে দিয়েছে র‌্যাব; অভিযোগ নিহত নজরুলের শ্বশুরের

7-muder_4

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত খুনের ঘটনার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কলকাতায় পালিয়ে যেতে র‌্যাব সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই অভিযোগ করেন। পরে প্রথম আলোকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারেও শহীদ চেয়ারম্যান একই কথা বলেন।
এদিকে শহীদ চেয়ারম্যানের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এ টি এম হাবিবুর রহমান। তিনি মোবাইল ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ চেয়ারম্যান যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি যে বক্তব্যের সূত্র ধরে এ কথা বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে একাধিক মিডিয়ায় তা প্রচার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয় একটি দৈনিকে। তাতে জিয়াউল আহসান দাবি করেন, সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। ঘটনার তিন দিন পর তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই সব রহস্য উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই সাক্ষাত্কারের পরিপ্রেক্ষিতে শহীদুল ইসলাম আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এমন অভিযোগ কেন করছেন, জানতে চাইলে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের কর্মকর্তারা যে জড়িত, সেটি পরিষ্কার হয়ে উঠছে।’
শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবার দাবির পরও অভিযুক্ত র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এমনকি আদালতের নির্দেশের পরও তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তার মানে কী? র‌্যাব চেষ্টা করছে র‌্যাবকে বাঁচাতে।’
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের মরদেহ। পরদিন আরেকটি মরদেহ পাওয়া যায়। ৪ মে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাত্কারে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা নূর হোসেনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে এই খুন করেছে। তিনি বলেন, ‘তাঁদের ব্যাংক হিসেব চেক করলেই সব বেরিয়ে আসবে।’ শহীদ চেয়ারম্যান এই ঘটনায় র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এই অভিযোগের পরপরই তাঁদের তিনজনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গতকাল রোববার এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend