র্যাব বিলুপ্ত না হলে আন্দোলন-খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, র্যাব বিলুপ্ত না হলে আন্দোলন শুরু হবে।
আজ সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, সরকার গুম-খুনের জন্য বাহিনী তৈরি করেছে। র্যাব এই বাহিনীতে কাজ করছে। র্যাব এখন রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকায় গত ৪ ডিসেম্বর আট জনকে র্যাব-১ তুলে নিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র্যাব-১১ জড়িত। র্যাব-৩ এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। খালেদা জিয়া বলেন, র্যাব এখন আতঙ্কের নাম। সাধারণ মানুষের কাছে এই বাহিনী আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। যতদিন র্যাব থাকবে ততদিন কেবল আতঙ্ক থাকবে, কোনো শান্তি থাকবে না।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কারা জড়িত তা পরিস্কার। তাহলে কেন তাদের জেলে না রেখে তাদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে? কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘অবসর দেওয়া হয়েছে আবার সব সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এটা কেমন ব্যাপার!’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ওই দিনের ঘটনায় ৭ জন নয় মোট ১১ জন মারা গেছেন। কিন্তু বলা হচ্ছে সাত জন। বাকি চার জন গরিব বলে তাদের নাম আসছে না। তিনি নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি সত্য কথা বলে যান। আমি আপনার পাশে আছি। আপনার গায়ে আচড় লাগলে সরকারকে মূল্য দিতে হবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের সময় কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপন দেওয়ান। এ সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন।