অতুলনীয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, দেখুন তার জীবনের অজানা-অদেখা যত অধ্যায়

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হলিউডের প্রিয়দর্শিনী নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। যার আকর্ষণীয় অভিব্যক্তি এবং আবেদনময় উপস্থাপন কেড়ে নিয়েছে হাজারো পুরুষের হৃদয়। জীবনে নানা দুঃসময়েও নিজেকে সামলে নিয়েছেন বীরের ন্যায়। গ্ল্যামার জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েও দুর্গত মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিনিয়তই। সমাজের কল্যাণমূলক কাজের কারণে বিশ্বের দরবারে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে। আর আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম এই সুন্দরী রূপসী রমণীর জীবন থেকে নেয়া কিছু অদেখা ছবি যা আপনি আগে কখনোই দেখেননি।

৪০-৪৫ বছরের একজন পুরুষের পা আঁকড়ে ধরে আছে একটি ছোটো মিষ্টি একটি মেয়ে। কেমন যেন চেনে চেনা লাগছে তাই না? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। সাদা পোশাক পড়া ঐ মিষ্টি মেয়েটি আর কেউ নন আজকের অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। যার পা জড়িয়ে ধরে আছেন তিনি জলির বাবা জন ভোয়াইট। ছবিটি ১৯৮০ সালে তোলা, বাবা এবং জোলির একপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার বড় ভাই জেমস।

হলিউডের আলোচিত এবং আবেদনময়ী রূপসী অভিনেত্রীর একটি অদেখা একটি ছবি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে এভাবেই ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা যায় জোলিকে।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সাথে সাবেক স্বামী বিলি বব থনটন। ছবিটি তোলা হয় ‘গণ ইন সিক্সটি সেকন্ড’ সিনেমার প্রিমিয়ারে।

অসম্ভব সুন্দর একটি ছবি যা দেখে আপনার প্রান জুড়িয়ে যেতে বাধ্য। মা মারকেলিন বারট্রেন্ডের সাথে অ্যাঞ্জেলিনার একটি অদেখা ছবি। তবে ২০০৭ সালে ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

আর পাঁচটা মায়ের মতোই দিন রাত ভেবে চলেছেন সন্তানের কথা। তাদের খিদে পেল কিনা, ঘুম পেল কিনা এই এখন তার চিন্তা। তিনি হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এবং বিশ্বের এক অন্যতম সুন্দরী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মোট ছয় সন্তানকে নিয়ে ভরপুর সংসার অ্যাঞ্জেলিনার। অ্যাঞ্জেলিনা জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় আমি সব মায়েদের মতোই এই বিষয়ে ভয় পাই যে ও সঙ্গে অঘটন ঘটতে পারে। একটি ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই তাহল ,আমরা একটা হোটেলে ছিলাম আর সেই হোটেলে আমি সারারাত ঘুমোতে পারিনি কারণ আমার চিন্তা হচ্ছিল সিঁড়ির রেলিং খুব নিচু এবং যেকোন সময় আমার বাচ্চারা দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হতে পারে। অবশ্যই আমি যাদের ভালোবাসি তার সঙ্গে কিছু দুর্ঘটনা ঘটার ভয়টাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় ভয়।

পিটকে নিয়েও প্রশংসায় পঞ্চমুখ জোলি। জোলি জানিয়েছেন ‘আমি কখনও ভাবিনি আমার সন্তান হবে, আমি এমনও ভাবিনি যে কোন দিন প্রেমে পড়ব, আর কোন দিন ভাবিনি আমি আমার জীবনসঙ্গী খুঁজে পাব। সত্যই তো বটে পিটের সাথে বেশ মানিয়ে যান জোলি। দুজনের প্রতি গভীর ভালোবাসা তাদের আজও একে অপরের সাথে বেঁধে রেখেছে।

ইউএনসিএইচআর সংস্থার হয়ে কাজ করার সৌভাগ্য হয় এই অভিনেত্রীর। আর তিনি একমাত্র অভিনেত্রী যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরিচয়ের সুযোগ পান। ছবিতে দেখুন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সৈকত আজিজের সাথে ইসলামাবাদে আঞ্জেলিনা জোলি।

সিরিয়ান শরণার্থীদের সাথে কাটানো কিছু সময়।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর লেবাননের বিকা ভ্যালিতে আশ্রিত সিরিয়ান শরণার্থীদের সাথে দেখা করেন হলিউডের এই তারকা। ভীতসন্ত্রস্ত বাচ্ছাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে এই অভিনেত্রীর ছোটো একটি প্রয়াস।