ট্রেনে নিচে ঝাঁপ দিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঈশ্বরগঞ্জে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আক্তার পলি (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সোহাগী রেলস্টেশনের কাছে বগাফুতা ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পলি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গণ্ডা ইউনিয়ণের বোয়ালী গ্রামের মৃত হাসেম পুলিশের মেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পলি ময়মনসিংহে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে রওনা হয়। দুপুর ১১টায় সোহাগী রেলস্টেশনে এসে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বগাপুতা ব্রিজের কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে। পরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জগামী ঈশাখা এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে দিলে কাটা পরে মারাত্মক আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন ও চানু মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যায়। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাড়াহুড়া করে কোনো প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মেয়েটির লাশ দাফন করাতে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে।
মেয়েটির ভ্যানিটি ব্যাগে ১৬৫ টাকা ও হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায় বলে জানায় প্রত্যক্ষ দর্শী মো. শাহ আলম।
তিনি আরো জানান, ‘চিরকুটে লেখা ছিল মা চলে গেলাম। লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’
প্রত্যক্ষদর্শী সুমন জানান, মেয়েটি মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করছিল। এর মধ্যে হঠাৎ তিনি দেখেন মেয়েটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী ঈশাখা এক্সপেসের নিচে ঝাপ দেয়।
পলিকে উদ্ধারকারী স্বপন ও চানু মিয়া জানান, রেলের প্রচণ্ড আঘাতে মেয়েটির মাথা থেতলে যায়। তারা দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।
বোয়ালী গ্রামের পলির প্রতিবেশী আবুল কালাম জানান, মায়ের সঙ্গে সকালে কথা কাটাকাটির পর রাগ করে বাড়ি থেকে চলে আসে বলে লোকমুখে তিনি শুনেছেন।
গণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জু মিয়া জানান, মেয়েটির মৃত্যু রহস্যজনক বলে তার কাছে মনে হয়েছে। তাছাড়া থানায় কোনো প্রকার তথ্য না দিয়ে লাশ দাফন করাটি ঠিক হয়নি।
নিহতের ভাই নাজমুল হক জানান, আমার বোনের মৃত্যুতে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তবে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সোহাগী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মদন মোহন দাস জানান, ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ গামী ঈশাখা এক্সপেসের নিচে পড়ে মেয়েটির মৃত্যু হয়। পরে লাশটি মেয়েটির পরিবারের লোকজন নিয়ে যান।