পটুয়াখালীর মুগডাল রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

image_90358_0দেশের সব থেকে বেশি মুগডাল চাষ হয় পটুয়াখালীতে। গত কয়েক বছর ধরে পটুয়াখালীর উৎপাদিত মুগডাল জাপানে রপ্তানি হচ্ছে।
তবে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হওয়ায় জমিতে সেচের ব্যবস্থা করায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। তবে এরপরেও ভালো ফলন হওয়ায় জেলার কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে মুগডাল তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের থেকেও প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়েছে। বাজারে মুগডালের ভালো দাম পাওয়ায় ও ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা থাকায় কৃষকরা এই ডাল চাষে দিন দিন উৎসাহিত হচ্ছেন।

এ বছর রবি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সেচ পাম্পের মাধ্যমে ক্ষেতে সেচের ব্যবস্থা করতে না পারায় ডালের উৎপাদনে কিছুটা সমস্য হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।

download

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, মুগডালের বীজ ফেলার পরে জমি কিছুটা শুকনা থাকায় জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এছাড়া চারা গজানোর পরেও বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় আবারো সেচ দিতে হয়েছে, ফলে উৎপাদন খরচ বিগত বছরের থেকে কিছুটা বেশি হয়েছে।
এদিকে, বিএনডিসির কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, জমি ভালো করে চাষ দিলে এবং যথা সময়ে জমিতে ভালোমানের বীজ বপন করলে কৃষকরা মুগডাল চাষ করে আরো বেশি ফলন পেতে পারেন।
বিগত কয়েক বছরে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে জাপানে উন্নতমানের মুগডাল রপ্তানি করা হচ্ছে, ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা মুগডাল চাষে উৎসাহ বোধ করছেন বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহম্মদ জিয়াউল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, মুগের বড়ো যে জাতটি আছে সেটি জাপানে রপ্তানি করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। ২০১৩ সালে শুধু দশমিনা উপজেলা থেকে অন্তত ৩০ মেট্রিকটন মুগডাল জাপানে রপ্তানি করা হয়েছে। আর এ বছর রপ্তারি লক্ষমাত্রা আরো বেশি বলেও জানান তিনি।
কৃষি বিভাগের নিয়মিত তত্ত্বাবধায়নের মাধ্যমে পটুয়াখালীর উর্বর জমিকে কাজে লাগিয়ে মুগডাল চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের পাশাপাশি মুগডাল রপ্তানি করে জাতীয় অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন কৃষি বিশেজ্ঞরা।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend