জামালপুর জেলা আ.লীগকেই দুষলেন আবুল কালাম আজাদ

abul_kalam_azad_sm_242189415জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়তই তাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন্দল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে বলে অভিযোগ করেছেন জামালপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, চারবারের এমপি, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং বর্তমান পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়তই আমাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন্দল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কারণেই একের পর এক দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতেও আমার কোনো মতামত না নিয়ে কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। ফলে, স্থানীয় ছাত্রলীগ দুই ভাগে ভাগ হয়েছে।
আগামী ১৪ মে জেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে জামালপুর মুক্তমঞ্চ মাঠে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে।
ওই সভায় কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মীর্জা আজম, জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হিরা ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শহিদুল্লাহকে বিশেষ অতিথি করা হয়েছে।
কিন্তু, আবুল কালাম আজাদকে বিশেষভাবে সম্মানিত না করে শুধুমাত্র অতিথিদের নামের তালিকার ১০ম স্থানে রাখা হয়েছে। এতে তিনি অপমানিতবোধ করেন এবং ক্ষুব্ধ হন।
এরপরই জামালপুর-১ আসনের এই সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়তই আমাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে রাখে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন্দল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। জেলা আওয়ামী লীগের কারণেই একের পর এক দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতেও আমার কোনো মতামত না নিয়ে কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। ফলে, স্থানীয় ছাত্রলীগে দুটি ভাগ হয়েছে।
আর সে কারণেই জামালপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ মনে করছেন, বিব্রত করতেই আগামী ১৪ মে-র জেলা শ্রমিক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজনে অতিথির তালিকায় তার নাম ১০ম স্থানে রাখা হয়েছে।
জেলা শ্রমিক লীগ প্রকাশিত পোস্টারে অতিথির তালিকা যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, আতিকুর রহমান সানা, অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ, মীর্জা সাখাওয়াত আলম মনি, অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার কামারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ার, আবু জাফর মোহাম্মদ শিশা ও জামালপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদ জানান, বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা তাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের কল্যাণেই তিনি সারাজীবন কাজ করে যাবেন।
১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য শ্রমিকদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনেও যোগ দেবেন না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ জানান, জাতীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বকনিষ্ঠ সহসভাপতি। তাই, সহসভাপতি হিসেবে সেখানেই তার নামটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend