‘রান’কে এবার হারিয়ে যেতে দেবেন না নাসির
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ গেল। গেল এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি টুর্নামেন্ট। কিন্তু সে সব টুর্নামেন্টে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না নাসির হোসেনকে।
ধারাবাহিক ব্যর্থতায় একবার তো মূল একাদশের বাইরেও চলে গেলেন। হতাশ, বিস্ময়ে বিমূঢ় নাসির তখন বলেছিলেন, ‘এমন হবে ভাবি নাই!’ শুরু থেকেই বেশ ধারাবাহিক নাসির নিজেকে হারিয়ে খুঁজবেন—এমনটা কে ভেবেছিল?
সম্প্রতি মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে নাসিরের ব্যাট খুঁজে পেয়েছে হারানো ছন্দ। দুই ইনিংসে করেছেন ৭০ ও ৬৭।
এ টুর্নামেন্টে নাসির যথেষ্ট ধারাবাহিকই ছিলেন। ৭ ইনিংসে করেছেন ৩২৭, ফিফটি ৪টি, গড় ৪৬.৭১।
বিসিএলের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ৯৯ রানে শুভাগত হোমের হাতে রানআউট হয়ে ফিরেছিলেন।
যদিও ফাইনালে নিজের দল জেতেনি। কিন্তু ব্যাট হেসেছে, আপাতত আত্মবিশ্বাসের রসদ খুঁজে পেতে পারেন এতেই। নিজেকে ফিরে পাওয়ার নেপথ্যে কী কাজ করেছে? জিজ্ঞেস করা হলে বললেন, ‘ফর্মে ফিরে আসতে এক্সট্রা তেমন কিছুই করিনি। তবে অনুশীলনটা বেশি করেছি, ঘাটতিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেছি, কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি, সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়েছি—এই তো!’
বিশ্বকাপ-পরবর্তী সময়ে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে খেলোয়াড়েরা মনোবিদের ক্লাস করেছেন। নাসিরও ছিলেন সেই দলে। মনোবিদের ক্লাস উপকারে এসেছে কি না, জানতে চাইলে বললেন, ‘মনোবিদের ক্লাসের সুফল তো পেয়েছিই…।’ পর মুহূর্তেই অবশ্য বললেন, ‘এখনই বলার সময় হয়নি, এটি কাজে দিয়েছে কি দেয়নি, তা বলতে আরও একটু সময় লাগবে। তবে ওই ক্লাস থেকে যা শিখেছি ভবিষ্যতে দারুণ কাজে দেবে।’ সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। ‘এ’ দলের অধিনায়ক হয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন সফর নিয়ে বললেন, ‘অধিনায়ক হয়ে যাচ্ছি, এতে তেমন উত্তেজনা নেই। অতিরিক্ত চাপও নেই। দলের প্রায় সবাই চেনা-পরিচিত। অনেক দিন একসঙ্গে খেলছি।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে বর্তমান ফর্ম ধরে রাখা প্রসঙ্গে বললেন, ‘খেলা যেখানেই খেলি না কেন, সবখানেই ভালো খেলার চেষ্টা থাকে। এখানে-ওখানে বলে কোনো কথা নেই! ওয়েস্ট ইন্ডিজেও তার ব্যতিক্রম হবে না। আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু হবে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে পরিকল্পনা করব।’