দুই ছাত্রীকে অপহরণ, আরেক জনকে অপহরণকালে আটক ৩
মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে নবম ও অষ্টম শ্রেিণর দুই ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ সোনারগাঁয়ে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানিয়েছে মেয়েটির পরিবার৷ এদিকে মুন্সিগঞ্জে অপহরণের সময় এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন৷ এ সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেন তাঁরা৷ আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
মানিকগঞ্জ: পৌর শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবম শ্রেিণর এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়৷ এ ঘটনায় রাসেল হোসেন (২০) নামের এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ রাসেল সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের আইরমারা গ্রামের আবদুল হক মিয়ার ছেলে৷
পুলিশ ও মেয়েটির পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাসেল তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে৷ এ ঘটনায় রাতেই মেয়ের মা রাসেলসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অপহরণ মামলা করেন৷ ওই রাত ১২টার দিকে পুলিশসহ মেয়েটির পরিবারের লোকজন রাসেলের বাড়িতে যান৷
রাসেলের নািন নবীরন বেগম অভিযোগ করেন, গভীর রাতে পুলিশ ও মেয়েটির পরিবারের লোকজন রাসেলদের বাড়িতে এসে কাউকে না পেয়ে পাশে তাঁর (নবীরন) বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখান৷ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি৷
সোনারগাঁ: গত সোমবার বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার হাড়িয়া এলাকা থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা৷ এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন৷
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল সকালে অপহরণকারীরা মেয়েটির বাবার মুঠোফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে৷ সোনারগাঁ থানার ওসি রিজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও আসািমদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে৷
মুন্সিগঞ্জ: গজারিয়া উপজেলায় নবম শ্রেিণর এক ছাত্রীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অপহরণের চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন তিন তরুণকে আটক করে পুলিশে দেন৷ ওই তরুণেরা হচ্ছে মো. মহসিন, নজরুল ইসলাম ও মো. আলাল৷ তাদের বাড়ি উপজেলার বাউশিয়া ফরাজিকান্দি এলাকায়৷
এলাকাবাসী জানান, পাঁচ-ছয়জন তরুণের একটি দল মেয়েটিকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তোলার চেষ্টা করছিল৷ এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং ওই তিন তরুণকে আটক করেন৷ অন্যরা পালিয়ে যায়৷ গজারিয়া থানার ওসি ফেরদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷