র‌্যাব আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে

নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।

র‌্যাব মেরে ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউসে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ র‌্যাব আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা যেকোনো সময় আমাকে অপহরণ করতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আমার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’

সাত খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফায় গণশুনানিতে সাক্ষ্য নেয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি সার্কিট হাউসে এ গণশুনানি করে।

গণশুনানি শেষে শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘ সাত খুনের সাক্ষিরা সবাই সিদ্ধিরগঞ্জের। এ জন্য গণশুনানি যেন সিদ্ধিরগঞ্জে করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ সিদ্ধিরগঞ্জে হলে আরো অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসতেন। নূর হোসেনের ভয়ে এখানে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসছে না।’

আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিচারের যে আশ্বাস দিয়েছে আমারা তাতে সন্তুষ্ট।’

এর আগে ১২ মে প্রথম অুনষ্ঠিত গণশুনানিতে সাতজন সাক্ষ্য দেন। এই তদন্ত কমিটি ৯ মে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সাক্ষ্য নিয়েছে। সেদিন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ নিহত সাতজনের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৮ মে দুপুরে তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জে যায় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এরপর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। মামলা প্রধান আসামী কাউন্সিলর নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলামসহ তার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন নূর হোসেন।

এ অভিযোগের পর গত ৬ মে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, সাবেক অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এরপর গত ১৩ মে দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আইজিপিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দণ্ডবিধি বা বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে বলেন আদালত।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend