কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, আহত ৩
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরচাপা পড়ে এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিড়ে গেছে। এতে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এলাকাবাসী জানায়, বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চরফলকন, পাটারীরহাট, চরকালকিনি ও সাহেবেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও দোকানঘরসহ শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক প্রতিবন্ধীসহ তিনজন আহত হন।
পাটারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল বাকী জানান, ঝড়ে তার এলাকার গিয়াসউদ্দিন নামের এক দিনমজুরের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে তার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শরিফ (১২) গুরুতর আহত হয়।
চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান লিটন জানান, ঝড়ে মতিরহাট বাজার জামে মসজিদসহ বাজারের তিনটি দোকানঘর, পাঁচটি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
মাতাব্বরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. রিপন জানান, ঝড়ের সময় গাছ পড়ে ওই এলাকার হোসেন আহাম্মদের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় তার শিশুপুত্র মোহাম্মদসহ (৭) দুইজন আহত হয়।
চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার সাইফউল্লাহ জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের তালতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী সায়েদউল্লাহ মসজিদসহ তালতলি বাজারের জামাল ও খোকনের দোকানঘর বিধ্বস্ত হয়।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ঝড়ে রামগতি-কমলনগর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ায় প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে গাছগুলো সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পল্লী বিদ্যুতের কমলনগর উপজেলা সাব-সেন্টারের ইনচার্জ মো. শরিয়তউল্লাহ জানান, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ছিড়ে যাওয়া পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল জানান, ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তিনি শুনেছেন। ওইসব ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছেন।