পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আমাদের জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান এই আওয়ামী লীগ সরকার কখনো পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারবে না। কেননা তারা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানকার কোনো ভিত নেই। জনগণের অংশগ্রহণ নেই এই সরকারে। এ কারণেই তারা অত্যাচার করছে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৩৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘ভারতের অব্যাহত পানি আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ র্যাব দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। রাজনৈতিক ভাবে র্যাবকে ভাড়াটিয়া বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরও কেন নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলছেন কারও কারও মন্তব্যে তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একমাত্র গঙ্গা নদীর চুক্তির মাধ্যমে কিছুটা পানির হিস্যা আমরা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও আর অন্য কোনো নদীর ওপর কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তিতে বলা আছে যদি কোনো বাধ দিতে হয় তাহলে ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য কোনো আলোচনা ও চুক্তি ছাড়াই বাংলাদেশের নদীগুলোর ওপর দিয়ে ৫৩টি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। অতীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন তারা কেউ সাহস করে এ বিষয়ে কথা বলেনি।
ভারতের নতুন সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততায় নির্বাচন হয়েছে। নতুন সরকার আমাদের বিষয় চ্যালেঞ্জগুলো ভেবে দেখবেন। আশা করি পানি, বাণিজ্য, সীমান্ত সমস্যার সমাধান করবেন। সবকিছু সমতার ভিত্তিতে করেত হবে। আমরা বৈরি সর্ম্পক চাই না।
দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাত করার জন্য অতি শিগগিরই কঠোর আন্দোলন করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
গোলটেবিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বর্তমান সরকারকে ‘পরজীবী’ ও ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই সরকার ভারতের দালাল। তাদের ঠেকানো না গেলে বাংলাদেশ লিখিত ভাবে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে।
সেনাবাহিনী ও র্যাবে অনেক অপরিচিত মুখ দেখা যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক অপরিচিত মুখ র্যাব ও সেনাবাহিনীতে দেখা যাচ্ছে। এরা কারা এটা খুঁজে বের করতে হবে।
আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আলমগীর মজুমদার বলেন, দেশের মানুষের মধ্য ঐক্য গড়ে তোলার জন্য মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা পানি আদায়ের লক্ষ্যে লংমার্চের আয়োজন করেন।