প্রেমের ফাঁদে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ
প্রেমে রাজি না হলে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় চতুর আবু জাহের ঢালী (১৯)। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাস দেয় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে।
শেষে ঘর থেকে তুলে বাগানে ফেলে ধর্ষণ করে ভণ্ড জাহের। সে চর আফজাল গ্রামের নূর মোহাম্মদ ঢালীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার চরফ্যাশনের পল্লীতে।
সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে ধর্ষক জাহের তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় ভণ্ডপ্রেমিক জাহের আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে প্রেমে সায় দেয় ওই কিশোরী। নিয়মিত সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ভালোবাসার কথাবার্তা চালাচালির পর গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘর পালিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কিশোরীকে নিয়ে যায় সে।
একটি ভাড়াটে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেফিরে সন্ধ্যার পর পৌরসভার কাইমুদ্দির মোড়ের একটি বাড়ির বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।পাড়ার লোকজন টের পেলে কিশোরীকে বাগানে ফেলে কেটে পরে জাহের। বিপদ আচঁ করতে পেরে কিশোরী বাগান সংলগ্ন জনৈক ইদ্রিস ক্বারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ওই বাড়ির গৃহবধূ ইয়ানুর বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
পরদিন বুধবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ষিতা অভিযোগ দাখিল করে বিয়ের দাবি জানায়। চেয়ারম্যান পরিষদের চৌকিদারকে ধর্ষকের বাড়িতে পাঠান এবং পরিষদে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন।
এ খবর পেয়ে বুধবার জাহের এবং তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা গা-ঢাকা দেন। গা-ঢাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা আসলামপুর গ্রামে জাহেরকে বিয়ে দেয়ার প্রস্ততি নেয়। এ সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতার পরিবার বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ দাখিল করে।
বৃহস্পতিবার রাতে আসলামপুরের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ হানা দিলেও জাহের এবং তার পরিবারের লোকজন সেখান থেকেও পালিয়ে যায়। পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান।
পুলিশ এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন প্রেম করে জাহের এখন প্রতারণা করে অন্যত্র বিয়ে করছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ জাহেরকে আটকের চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছিল।